কলকাতাঃ বাংলাদেশের (Bangladesh) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নবান্ন (Nabanna)। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নবান্নের কর্তাদের কথা হয়েছে। রাজ্যের কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা দেখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লিতে রাজ্যের রেসি়ডেন্ট কমিশনারকে সতর্ক থাকতে বলেছে নবান্ন। বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
এদিকে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খোলেনি। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যা চলছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি বেশ জটিল বলেই মেনে নিচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। এমনিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবার ভারত সফর করেছেন। তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ নিয়ে ওয়েট অ্যান্ড সি নীতি নিয়ে চলার পথ নিয়েছে। নীতিগতভাবে ঢাকার পাশে থাকার কথা জানালেও একটি বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারকে ভাবাচ্ছে। আগেভাগে হাসিনা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিলে আন্দোলনরত ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে ভারত সম্পর্কে ভুল বার্তা যেতে পারে। তবে ভারত সরকার ঢাকার শীর্ষ নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করার একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অসরকারিভাবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল বলেন, একে বাংলাদেশের অভ্যরন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: সেনা টহলে সুনসান ঢাকার রাস্তা, জারি কার্ফু
আরও খবর দেখুন