কলকাতা : রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের। পরীক্ষামূলক ভাবে নাগপুর থেকে পেঁয়াজের বীজ এনে বিলি করা হয়েছে। ফলে, আগামী তিন বছরে এই রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজ্য সরকার।
শুধুমাত্র রবি মরসুমে নয়, খরিফ মরসুমেও পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করতে হয়। এতে পেঁয়াজের দামের সঙ্গে যোগ হয় বাড়তি পরিবহণ খরচ। রাজ্যের পাইকারি ও খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দামে এর প্রভাব পড়ে। তাই পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে নতুন পরিকল্পনা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের।
নাগপুর থেকে বিশেষ প্রজাতির ৭ হাজার কেজি পেঁয়াজের বীজ নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যের ১০ টি জেলার কৃষকদের কাছে ইতিমধ্যেই তা বিলি করেছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই গাছগুলির থেকে উৎপাদিত পেঁয়াজ রাজ্যের চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ পূরণ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন – রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
একইরকমভাবে কাশ্মীর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে আখরোটের চারা। প্রায় ১ হাজার চারা উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াংয়ে লাগানো হয়েছে রাজ্যের আখরোট উৎপাদন বাড়াতে। দু’বছর পরে এই গাছগুলো থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত আখরোট। প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বাড়ছে ফলে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি নীতি এবং উদ্যোগপতিদের মেলবন্ধন ঘটাতে বিশেষ ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সম্ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনায় বণিকসভার প্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা। রাজ্যে উৎপাদিত সবজি, ফল, মাছকে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রক্রিয়াজাত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুণমান বজায় রেখে কীভাবে এর ব্যবহার বাড়ানো যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে কাজে লাগাতে চায় রাজ্য সরকার।