কলকাতাঃ সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ করাতে হবে বলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। গত শুক্রবার কুণাল বলেন, সোমবারের মধ্যে শপথ না হলে দিল্লির পাঁচতারা হোটেলের অকথিত কাহিনি প্রকাশ্যে আনা হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যপাল দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি কবে ফিরবেন, তা অনিশ্চিত।
সোমবার বিকেল তিনটেয় কুণালের দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা কি সেই হোটেলের অকথিত কাহিনি সামনে আনবেন? এদিন কুণাল বলেন, বিধানসভার স্পিকার শপথগ্রহণের জটিলতা কাটানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন। আশা করি, রাজ্যপাল সেই জটিলতা কাটাবেন।
আরও পড়ুন: ফের আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর
কিন্তু সোমবারের ঘটনাপ্রবাহ বলছে, জটিলতা কাটেনি। এদিনও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, আপনি বিধানসভায় আসুন। শপথগ্রহণ করান। আমি আপনাকে বিধানসভার গেট থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসব। এদিনও দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়েত হোসেন সরকার বিধানসভা চত্বরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনা চালিয়ে যান। তাঁরা রাজ্যপালকে ফের চিঠি দিয়েছেন। লোকসভা ভোটের মুখেই রাজভবনের এক মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনে তাঁর শ্লীলতহানির অভিযোগ করেন। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজ্যপাল সাংবিধানিক কিছু রক্ষাকবচ পান বলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা করা যায় না। তবু কলকাতা পুলিশ রাজভবনের কয়েকজন কর্মীকে ডেকে পাঠায় তদন্তের স্বার্থে। ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অনুসন্ধানও শুরু করেন। রাজ্যপাল পুলিশের রাজভবনে ঢোকা নিষিদ্ধ করে দেন। ভোটের সময় প্রচারে নেমে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন।
সম্প্রতি রাজ্যপাল ওই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরার অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেন। এদিকে ওই বিতর্ক চলাকালীনই কুণাল কয়েক মাস আগের একটি ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে এক নৃত্যশিল্পীর অভিযোগ, রাজ্যপাল দিল্লির ওই পাঁচতারা হোটেলে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। মনে করা হচ্ছে, কুণাল সেই অকথিত কাহিনিই তুলে ধরার হুমকি দিয়েছিলেন গত শুক্রবার। এখন দেখার, মঙ্গলবার কুণাল কী করেন।