নয়া দিল্লি: বিশ্ব বাণিজ্যের নতুন সমীকরণ তৈরি করতে হোয়াইট হাউসের ‘রোজ গার্ডেন’ থেকে বৃহস্পতিবার পাল্টা-শুল্কের ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ‘লিবারেশন ডে টারিফ’ নামে এই শুল্কনীতির আওতায় ভারত, চিনসহ একাধিক দেশ পড়লেও সবচেয়ে অবাক করেছে এক নির্জন দ্বীপের ওপর শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত। উপ-অ্যান্টার্কটিক ভারত মহাসাগরের জনমানবশূন্য হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জেও ১০% শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প, যা আন্তর্জাতিক মহলে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের প্রকাশিত শুল্ক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জের নামও রয়েছে, যদিও এই দ্বীপ অস্ট্রেলিয়ার অংশ এবং সেখানে কোনও মানব বসতি নেই। অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বরফঢাকা এই দ্বীপে শুধু পেঙ্গুইন, সিল ও বিভিন্ন পাখির বাস। তবুও ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে শুল্ক বসিয়েছে, যা অভূতপূর্ব ও বিভ্রান্তিকর।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বৈঠক করলেন মোদি ও ইউনুস
ট্রাম্প তার বক্তৃতার সময় একটি পোস্টারের মাধ্যমে নতুন শুল্কের প্রভাবিত দেশ ও অঞ্চলগুলোর নাম দেখান এবং সাংবাদিকদের সামনে মুদ্রিত তালিকা উপস্থাপন করেন। আশ্চর্যের বিষয়, সেই তালিকায় উল্লেখ রয়েছে যে দ্বীপপুঞ্জগুলোও ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১০% শুল্ক বসিয়েছে’, যা আরও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি তথ্যমতে, হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জকে পৃথিবীর সবচেয়ে বন্য ও দুর্গম স্থানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেম্যান্টল বন্দর থেকে সেখানে পৌঁছাতে আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে জাহাজে প্রায় ১০ দিন সময় লাগে। দ্বীপপুঞ্জটি মূলত সংরক্ষিত অঞ্চল, যেখানে একাধিক বিরল প্রজাতির পেঙ্গুইন, সিল ও সামুদ্রিক পাখির বসবাস।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ একে ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলছেন, কেউবা কটাক্ষ করে বলছেন, এবার পেঙ্গুইনদেরও বাণিজ্যযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে!
দেখুন আরও খবর: