কলকাতা: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এইচআরএমএস পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নবান্নে অর্থ দফতরের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্র ভারতী, উত্তরবঙ্গ, কল্যাণী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অফিসারদের উপস্থিত থাকবেন। শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এইচআরএমএস সিস্টেম চালু করার মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চরম উঠেছে। জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সেই সমস্যা সমাধানে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালত বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। তারই মধ্যে এবার হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এইচআরএমএস পদ্ধতি নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে নবান্নে। সেখানে প্রথম দফায়, রবীন্দ্রভারতী, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, গৌড় বঙ্গ, কাজী নজরুল, ডায়মন্ড হারবার, কোচবিহার পঞ্চানন ভার্মা, বারাসত, সিধ কানহো ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অফিসারদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এখানেই আপত্তি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষক সংগঠনের একাংশ। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন আরবিইউটিএ’র অভিযোগ, এইচআরএমএস পদ্ধতি চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার অভিযোগ, এইচআরএমএস চালু হলে বেতন সহ একাধিক বিষয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে যা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, ২০১৮ সালে এইচআরএমএস পদ্ধতি চালু করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রবল আপত্তির কারণে তা আর চালু হয়নি। তবে কি ফের ওই পদ্ধতি চালু করতে চাইছে সরকার? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। অন্যদিকে ওই পদ্ধতি চালু হলে আইনি পথে তার মোকাবিলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।