রাঁচি: ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে আজ, শুক্রবার বসতে চলেছেন বর্ষীয়ান জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে রাজভবনের দরবার হলে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, পারিবারিক অশান্তি সামাল দিতে হেমন্তের ছোট ভাই তথা দুমকার বিধায়ক বসন্ত সোরেন উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সাত ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্তকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাও দেন। এরপর নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চম্পাই সোরেনকে ডাকতে গড়িমসি করছিলেন। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিনিয়র সোরেনকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। তার আগে অবশ্য জেএমএম জোটের ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থনপত্র রাজ্যপালকে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেঘলা-ছায়ায় বৃষ্টির শাসানি, পারদও থমকে
শোনা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের সরকারপক্ষে শরিক কংগ্রেসের আলমগির আলমও শপথ নিতে পারেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণন। শুক্রবার ইডি জানিয়েছে, ৩৬ লক্ষ টাকা নগদ এবং জমি কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ রয়েছে, তাতে সাড়ে ৮ একর জমির হিসাব তারা পেয়েছে।
কে ‘ঝাড়খণ্ড টাইগার’ চম্পাই সোরেন?
অর্জুন মুন্ডার আমল থেকে চম্পাই সোরেন ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী। খোদ হেমন্ত সোরেনও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। বহুবার চম্পাইকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন হেমন্ত এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। ফলে দল এবং মন্ত্রিসভায় তাঁর অবস্থান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সবাই তাঁকে মানেন।
সরাইকেলার বিধায়ক চম্পাই কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদে ভেসে উঠল। ১৯৯১ সালে প্রথম তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। উপনির্বাচনে তিনি প্রভাবশালী এমপি কৃষ্ণ মারডির স্ত্রীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন। ১৯৯৫ সালে জেএমএমের টিকিটে জয়লাভ করেন। কিন্তু ২০০০-এর নির্বাচনে বিজেপির অনন্তরাম টুডুর কাছে পরাজিত হন।
২০০৫ সাল থেকে সরাইকেলা থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসছেন চম্পাই। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই সকলের বড়। ম্যাট্রিক পাশ চম্পাইয়ের স্ত্রী মাঙ্কো সোরেন এবং তাঁদের চার ছেলে, তিন মেয়ে রয়েছে।
অন্য খবর দেখুন