কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্কঃ পাহাড়-পর্বতে বাইক (Bike Rider) নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা ছিল নেশা।বিভিন্ন দুর্গম স্থান অতিক্রম করে ফিরে আসায়, এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি ছিল। কিন্তু এই বাইকই যে জীবনের সব পরিচিতি কেড়ে (Bike Rider in west bengal) নেবে কে জানত?
এই রাজ্যের অনেক বাইকপ্রেমী মানুষই চেনেন সুমন মাঝিকে।নানা রকম প্রতিকূলতা কাটিয়ে সব সময় সাফল্য লাভ করেছেন তিনি।কখনও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি সুমনকে।প্রায়ই বাইক (Bike Cccident) নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন। কখনও একা, কখনও দোকা। বৃহস্পতিবার রাতে সুমনের বন্ধু হাবুল খাঁ তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সময় পার হলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি সুমন।পরে তাঁর পরিবারের লোক একাধিকবার ফোন করলেও কোনও উত্তর মেলেনি।এরপর হঠাৎ বাড়ির লোকের কাছে শুক্রবার সকালে খবর আসে, সুমন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি।
শুক্রবার সকালে সুমনের এক বন্ধু ফোন করে দুঃসংবাদটি দেন। হাসপাতালে গিয়ে বাড়ির লোক দেখেন, সুমনের পেটের একাধিক অংশ ছিন্নভিন্ন। ফালাফালা করে চেরা ঘাড়ের কাছে, কাটা রয়েছে গলা।পোলবা থানা মারফত জানতে পারা যায়, দিল্লির রাজহাট রোডে বাইক দুর্ঘটনা হয়েছে তাঁর।পুলিস তাঁর দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেয় বহু চেষ্টার পরও শেষ রক্ষা হয়নি।শনিবার সকালে মারা যান সুমন।
পুলিস জানিয়েছে, চন্দননগর সুরেরপুকুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মাঝি, বয়স ২৬। তাঁর নিজের পালসার ২৫০ বাইক রয়েছে।তাঁর ভ্রমণের জন্য অনেক বাইকপ্রেমীর কাছেই তিনি পরিচিত।
পরিবারের অভিযোগ, সুমনের যে বন্ধু তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, ব্রিহস্পতিবার রাত থেকে সেই হাবুলের ফোন বন্ধ ছিল। একাধিকবার ফোন করা হয়েছে সুমনের ফোনেও। সবটা সাজানো ছিল।পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, যে কখনও কোনও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়নি, তার এই পরিণতি হল কীভাবে? দ্বিতীয়ত, সুমনের পেট ফালাফালা করে কাটা ছিল কেন? যে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর ফোনই বা বন্ধ ছিল কেন ? এখন সে কোথায়? সুমনের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পোলবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার।
রাস্তার পাশে তাঁর দেহ পড়ে থাকা দেখে পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বাইক দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে সুমনের।অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত বন্ধু হাবুল পলাতক রয়েছে । হাবুলকে গ্রেফতার না করলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন হবে না বলেই মত পুলিসের। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আরও পড়ুন Tapan Kandu Murder Case: ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তপন কান্দুর স্ত্রীর গোপন জবানবন্দি