করাচি: এক কেজি মুরগির দাম (Chicken Prices) ১০০০ টাকা। ডজন প্রতি ডিমের দাম (Egg Prices) হয়েছে ৫০০ টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। পাকিস্তানে (Pakistan) এখন করুন অবস্থা সাধারণ জনগণের (Citizens of pakistan), দেশের সরকারের বেহিসেবি নীতি এবং গাফিলতিতে জেরবার ভারতের প্রতিবেশী দেশের নাগরিকরা। সয়াজাত খাদ্যের আকাল দেখা দিয়েছে সে দেশে, তার জেরেই চড়চড়িয়ে দাম বাড়ছে পোলট্রি এবং পোলট্রিজাত পণ্যের (Poultry and Poultry Items)। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এরকম চলতে থাকলে দেশে চরম খাদ্য সঙ্কট (Food Crisis) তৈরি হবে, না খেতে পেয়ে মানুষ অপুষ্টিতে (Malnutrition) ভুগবেন। সেইসঙ্গে আরও তলানিতে যাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি, বাড়বে অর্থ সঙ্কট (Economic Crisis)।
বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে পোলট্রিজাত খাদ্যপণ্যের দাম গগনচুম্বী। এক কেজি মুরগির মাংসের ১০০০ পাকিস্তানি টাকা ছুঁয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় ও সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত ডিমও মহার্ঘ। ১২টা ডিমের দাম ৫০০ পাকিস্তানি টাকা। অর্থাৎ একটা ডিমের দাম ৪১ টাকা ৬৬ পয়সা সে দেশে। কেন এই দাম বৃদ্ধি?
পাকিস্তানের অর্থনীতি বহুদিন ধরেই নিম্নমুখী। পেঁয়াজ-রসুনের মূল্যবৃদ্ধি (Prices of Onion and Garlic) নিয়ে পাক জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই জেরবার। মাঝে টমেটোর দামও (Price of Tomato) রাতের ঘুম উড়িয়েছিল সে দেশের জনগণের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় পাকিস্তানের জনগণ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ দেশের সরকারের উপর। কারণ শেহবাজ শরিফ সরকারই (Shehbaz Sharif Government) এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। সয়াবিন (Soybean) এবং ক্যানোলা বীজ (Canola)-এর শিপমেন্ট বন্দরে আটকে পড়ে রয়েছে, সরকার এখনও মাল খালাসের ছাড়পত্র দেয়নি। ফলে রসদের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের পোলট্রি ফার্ম এবং অন্যান্য সহায়ক শিল্প। তার জেরে হুহু করে বাড়ছে মুরগির মাংস ও ডিমের দাম।
পাকিস্তানের পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (Pakistan Poultry Association – PPA) এবং অল পাকিস্তান সলভেন্ট এক্সট্র্যাকটর্স অ্যাসোসিয়েশন (All Pakistan Solvent Extractors’ Association – APSEA) মূল্যবদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার করাচি প্রেস ক্লাব (Karachi Press Club)-এ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এপিএসইএ চেয়ারম্যান মিঁয়া মহম্মদ আহমেদ (Mian Muhammad Ahmed) সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সয়াবিন খাদ্যপণ্য নিয়ে চারটি জাহাজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে। তার মধ্যে দু’টি জাহাজ মাল খালাস করলেও আধিকারিকরা ছাড়পত্র না দেওয়ায় তা বাজারজাত করা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, আরও দু’টি জাহাজ সয়াবিনজাত খাদ্যপণ্য নিয়ে পোর্ট কাসিমের কাছে অপেক্ষায় রয়েছে। আরও পাঁচটি জাহাজের সয়াবিন নিয়ে শীঘ্রই পাকিস্তানে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।