মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (Nationalist Congress Party) প্রধান শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar) তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট সঙ্গী এনসিপি। কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র অলকা লাম্বা (Alka Lamba) শরদ পাওয়ারকে লোভী বলে বর্ণনা করেছেন। শিল্পপতি গৌতম আদানির (industrialist Gautam Adani) সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশ করেছেন। অলকা লাম্বা (spokesperson Alka Lamba) টুইটারে লিখেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে ভীত লোভী মানুষ একনায়ক ক্ষমতার প্রশংসা করছে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) একাই দেশের জন্য লড়ছে। পুঁজিবাদী চোরেদের বিরুদ্ধে লড়ছে। যারা চোরেদের বাঁচাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদানির স্বপক্ষে বক্তব্য পেশ করেন শারদ পাওয়ার।
কংগ্রেসের টুইটার পোস্টের জবাব দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের হয়ে ব্যাট ধরেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি যাবে আসবে। কিন্তু একজন কংগ্রেস নেতার এই টুইট তাদের ৩৫ বছরের জোটসঙ্গী ও ভারতের অন্যতম বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও মহারাষ্ট্রের ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর। রাহুল গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা (Shehzad Poonawalla) বলেন, আমি স্তম্ভিত। এটা কী কংগ্রেসের অফিশিয়াল অবস্থান? অলকা লাম্বা অবিশ্বাস্য আক্রমণ করেছেন শরদ পাওয়ারকে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হিসেবে আমি লজ্জিত।
আরও পড়ুন: Poonch LOC| পুঞ্চ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দিল ভারতীয় সেনা
মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ও তাঁর সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পরে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও গৌতম আদানির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা আচমকা আদানির শেল কোম্পানিতে হঠাৎ চলে এসেছে। কোথা থেকে এই টাকা এসেছে। কিছু কোম্পানি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত। কার টাকা আমাদের ড্রোন ও মিসাইল তৈরিতে খরচ করা হয়েছে? কেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রশ্ন করছে না। রাহুল গান্ধী তথ্যের সোর্স উদ্ধৃত করেননি। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের প্রায় অর্ধেক ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এসেছে আদানি গ্রুপে। সেখানে আদানি পরিবারের যোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের আরেক অন্যতম জোটসঙ্গী উদ্ভব ঠাকুরের শিবসেনার সম্প্রতি কংগ্রেসের বক্তব্যে গোঁসা হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সাভারকর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। যে ঘটনায় কংগ্রেসকে তুলোধনা শুরু করে শিবসেনা। সাভারকরের অপমান তাঁরা সহ্য করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, তিনি গান্ধী, সাভারকর নন। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না। পরে অবশ্য শোনা যায় শরদ পাওয়ার মধ্যস্থতায় সেই বিতর্কে ইতি পড়ে। এদিন কংগ্রেসের অলকা লাম্বার এই টুইট নিয়ে পরে অবশ্য তিনি বলেছেন এটা তার নিজের বক্তব্য। দলের নয়।