কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সঙ্গে আগামিকাল বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তার আগে বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত কর্মীদের কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখাই কর্মীদের প্রধান কর্তব্য। যেটুকু সমস্যা বা দাবি-দাওয়া আছে তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে গত চারদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। তাঁদের আন্দোলনের সরাসরি প্রভাব পড়েছে গণপরিবহণ ব্যবস্থায়। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সরকারি বাস পরিষেবা প্রায় বন্ধ। কর্মীদের বিক্ষোভে সরকারি ডিপো থেকে বাস বেরচ্ছে না। চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই আন্দোলনের সঙ্গে আইএনটিটিইউসির কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিকে এদিনই কর্মীদের পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানান মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, কর্মীদের দাবি-দাওয়া বা ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিক কাজকর্মের আসা-যাওয়ার পথ রুদ্ধ করা ঠিক নয়। এদিকে সামনেই পুজো। কর্মীদের আন্দোলন চলতে থাকলে পুজোর মুখে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সবার সমস্যা আরও বাড়বে। তাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথ খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। শুক্রবার পরিবহণ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন আন্দোলনকারীরা। চেষ্টা হবে ওদিনই সমাধানসূত্র বের করার।
এদিন স্নেহাশিস চক্রবর্তী আরও জানিয়ে দেন, কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীরা যাতে নিয়মিত কাজকর্ম পান এবং প্রাপ্য মাইনের টাকায় সংসার চালাতে সমর্থ্য হন সে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখবেন। মন্ত্রী নিজেও চান পুজোর মুখে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে। তবে যে কোনও আলোচনাই করা হবে রাজ্য পরিবহণ নিগমের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নির্দিষ্ট এগ্রিমেন্টের ক্লজের ভিত্তিতে। আগামিকাল আলোচনা থেকে কী সমাধান সূত্র বের হয়, সে দিকেই তাকিয়ে অস্থায়ী কর্মী থেকে নিত্যযাত্রীরা।