ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এবার রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে জি সেভেন গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে সতর্ক করে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। একইসঙ্গে জি সেভেন গোষ্ঠীর অন্তর্গত দেশগুলি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সাম্প্রতিক মিসাইল হানারও তীব্র নিন্দা করেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। কিয়েভে নিরীহ ইউক্রেনীয় নাগরিকদের উপর সাম্প্রতিক মিসাইল হানার পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনার রাস্তা স্বভাবতই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাশিয়া আক্রমণ বন্ধ না করলে জেলেনস্কি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ।
জি সেভেন গোষ্ঠী এই দাবিও জানিয়েছে, সম্প্রতি কিয়েভে নিরীহ নাগরিকদের ওপর যে মিসাইল হানা চালানো হয়েছে এর জবাবদিহি করতে হবে পুতিনকে। ঘটনার নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও গোটা বিষয়টি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আসন্ন শীতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার কোন আশা নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। জি সেভেনের অন্তর্গত দেশগুলি যৌথ বিবৃতি দিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বলেছে, ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম জুগিয়ে সহযোগিতা করা হবে আগামিদিনেও।
আকাশপথে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানা রুখতে জি সেভেনের অন্তর্গত দেশগুলির কাছে সামরিক সরঞ্জাম চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পরে পশ্চিমি দেশগুলি ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্রও সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: Anti-hijab protests: ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের প্রভাব পড়ছে চা আর বাসমতী চাল রফতানিতে
জি সেভেন বৈঠকে জেলেনস্কি আবেদন জানিয়েছেন, মস্কোর উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের নিরীহ নাগরিকদের উপর রাশিয়ার হামলার নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।