কলকাতা: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মিলল রক্ষাকবচ। আদালত জানিয়েছে, সিবিআইয়ের আবেদনের গ্রণযোগ্যতা আছে। কিন্তু তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ নয়। সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না ছয় সপ্তাহ । সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর খারিজ করা হোক। এবং তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক বলে আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই ঘটনায় কোনও স্থগিতাদেশ দিলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু, বলেন, সিবিআই প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে। বগটুই কাণ্ডে লালন শেখ গ্রেফতার হয়। বাথরুমে সে আত্মহত্যা করে। অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য, স্বরূপ দে, এসপি, ডিআইজি সিবিআই তাঁরা গরু পাচারের তদন্তকারী অফিসার। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ketugram Incident: শুটআউটের ঘটনায় পুলিশের জালে ২ দুষ্কৃতি
সিবিআইয়ের বক্তব্য, ওই ঘটনার দিন ২০০ কিলোমিটার দূরে ছিলেন তাঁরা। চাপ সৃষ্টি করার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এটা আত্মঘাতী ঘটনা। এই এফআইআর (FIR) বাতিল করা হোক। এটা মিথ্যা মামলা। তা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করুক আদালত। লালনের স্ত্রীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এফআইআর (FIR) দায়ের করানো হয়েছে। তিনি কী করে জানলন এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সিবিআইয়ের ডিআইজি যুক্ত? এটা সম্পূর্ণ ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। তাতে সরকারি আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিবিআই বারবার লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় দায়ের হওয়া FIR নিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ডিআইজি সিআইডি ঘটনার তদন্ত করছেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে একই বিষয়ে মামলা বিচারাধীন। সেখানে বিচারপতি সেনগুপ্ত তদন্তের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেননি। বরং রক্ষাকবচ দিয়েছেন। সেখানে সিবিআই আবার কী করে এই আদালতে ফের আবেদন জানায়! ওই আদালতে সেই একই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে। বিচারপতি সেনগুপ্ত তদন্তের নজরদারি করেছেন। এইমসে পরীক্ষার কথা বলেছেন আমরা মানছি। তাই গ্রহণযগ্যতাকে মান্যতা না দিয়ে এই আবেদন খারিজ করা হোক।
আরও পড়ুন: Arjun Singh-Debangshu: দিদির সুরক্ষা কবচ অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের মুখে অর্জুন-দেবাংশু
তাতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই আবেদন সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আমরা সুশান্ত ভট্টাচার্য, স্বরূপ দে , এসপি, ডিআইজির বিরুদ্ধে FIR বাতিল হোক চাইছি। লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবির আইনজীবী সুবীর গাঙ্গুলি বলেন, লালনকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এটা সম্পূর্ন অপরাধ। তদন্ত চলছে। এমতো অবস্থায় এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছেন।