বার্মিংহ্যাম: ইংল্যান্ডে (England) টেস্ট ক্রিকেট (Test Cricket) খেলার মজা আর কোথাও নেই। যে মহূর্তে মনে হচ্ছে ব্যাটাররা প্রভুত্ব করে যাবে, সে সময় হঠাৎ একটা বল এমন সুইং করবে যে ডন ব্র্যাডম্যান থেকে শচীন তেন্ডুলকর পর্যন্ত ধাঁধায় পড়ে যাবেন।
ইংল্যান্ড যখন ২৭৩ রানে অল আউট হয়ে গেল, উইন প্রেডিকটর দেখাচ্ছিল ইংল্যান্ডের জেতার সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ৫৫ শতাংশ এবং ড্রয়ের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। চতুর্থ ইনিংসে ১৭ ওভারে ৬৪ রান, অস্ট্রেলিয়ার একটাও উইকেট পড়েনি। ক্রমশ ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, চাপে পড়ছে তাদের বাজবল ক্রিকেট। কিন্তু বাজবল ক্রিকেট হল ভয়ডরহীন ক্রিকেট, হারের মুখেও অবিচল থাকা। সে কারণেই ডেভিড ওয়ার্নারের পুল শট হাতের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও দাঁত বের করে হাসেন জ্যাক ক্রলি।
আরও পড়ুন: Dilip Vengsarkar | ভারতীয় নির্বাচকদের উদ্দেশে বোমা ফাটালেন দিলীপ বেঙ্গসরকার
আক্রমণে অলি রবিনসন আসার পর ফের সেই ‘আমব্রেলা’ ফিল্ড সাজিয়েছিলেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)। উসমান খোয়াজা (Usman Khawaja) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) পালটা জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু প্রথম ভুলটা করে ফেললেন সেই ওয়ার্নার। রবিনসনের বলে কিপারের হাতে খোঁচা দিলেন। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার মার্নাস লাবুশেনও (Marnus Labuschagne) সেই একই কাজ করলেন। শিকার হলেন স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad)। ক্রিজে এলেন অস্ট্রেলিয়ার, এবং সম্ভবত বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা টেস্ট ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। তাঁকেও কট বিহাইন্ড করলেন ব্রড। এখানেই ম্যাচের ব্যালেন্স ঘুরল।
Broady is on one here… ?
He entices Steve Smith into the drive and he’s nicked it!
Australia 3 down ? #EnglandCricket | #Ashes pic.twitter.com/QFTdSrkzN0
— England Cricket (@englandcricket) June 19, 2023
অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে পড়া ম্যাচ এখন যে কেউ জিততে পারে। একদিন থেকে মইন আলি (Moeen Ali) স্পিন করে যাচ্ছেন। এদিকে অজিদের হয়ে খুঁটি পাকড়ে বসে আছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা খোয়াজা। তাঁকে আউট করাই এখন ইংল্যান্ডের প্রধান চ্যালেঞ্জ। ট্র্যাভিস হেড নামেননি, নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামানো হয়েছে স্কট বোল্যান্ডকে। চতুর্থ দিনের শেষে তিন উইকেট, তিনটে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ১০৭। ম্যাচ জিততে বাকি ১৭৪। যে কেউ জিততে পারে। এটাই টেস্ট।
এজবাস্টনে সত্যিকারের টেস্ট ম্যাচ চলছে, প্রথম দিন থেকে দুই হাত বল ঘোরা নয়, ব্যানানা সুইংয়ের মতো সবুজ ঘাস নয়। সত্যিকারের ব্যাটে-বলে দ্বৈরথ চলছে। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট জিতবে, সে যে দলই হোক। একেই কি বলে টেস্ট ক্রিকেট?