রাঁচি: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁর জায়গায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। বুধবার ঠিক দুপুর দেড়টায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে যায় ইডি। রাঁচি এবং দিল্লি মিলিয়ে মোট ৭ জনের একটি দল জমি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা।
অর্জুন মুন্ডার আমল থেকে চম্পাই সোরেন ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী। খোদ হেমন্ত সোরেনও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। বহুবার চম্পাইকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন হেমন্ত এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। ফলে দল এবং মন্ত্রিসভায় তাঁর অবস্থান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সবাই তাঁকে মানেন।
সরাইকেলার বিধায়ক চম্পাই কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদে ভেসে উঠল। ১৯৯১ সালে প্রথম তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। উপনির্বাচনে তিনি প্রভাবশালী এমপি কৃষ্ণ মারডির স্ত্রীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন। ১৯৯৫ সালে জেএমএমের টিকিটে জয়লাভ করেন। কিন্তু ২০০০-এর নির্বাচনে বিজেপির অনন্তরাম টুডুর কাছে পরাজিত হন।
২০০৫ সাল থেকে সরাইকেলা থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসছেন চম্পাই। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই সকলের বড়। ম্যাট্রিক পাশ চম্পাইয়ের স্ত্রী মাঙ্কো সোরেন এবং তাঁদের চার ছেলে, তিন মেয়ে রয়েছে।