পাটনা ও নয়াদিল্লি: বিহারে বিজেপি নতুন সরকার গঠনের জন্য হাত চুলকোচ্ছে। জেডিইউ সব বিধায়ককে জরুরি ভিত্তিতে পাটনায় চলে আসার হুলিয়া জারি করেছে। এই অবস্থায় লালুপ্রসাদ ও তেজস্বী যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেস গলা জলে নেমে ডুবন্ত সরকার বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফলে গলায় জোর না থাকলেও আরজেডি-কংগ্রেস নেতারা সরকার পড়বে না বলে দাবি করে চলেছেন। শুক্রবার গণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর তেজস্বী যাদব বলেন, গণতন্ত্রে মানুষই দেবতা। এই অবস্থায় রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের যদি সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাই আরজেডি এবং কংগ্রেস সরকার বাঁচাতে আসরে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ জানুয়ারি নতুন নীতীশ সরকারের শপথ? বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী
নীতীশ কুমার যদি সত্যিই পদ্ম শিবিরে ভেড়েন, তাহলে আরজেডি বিধায়কদের শক্তি প্রদর্শনে যেতে পারে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ এখনও তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তাছাড়া তাদের সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিএম, সিপিআই। এমনকী আসাউদ্দিন ওয়েইসির একজন বিধায়কের সঙ্গেও কথা চলছে।
বিজেপির দাবার চালের বিপরীতে আসরে অবতীর্ণ হয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবও। তাঁর কৌশলেই হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা বা হাম পার্টির নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝির পুত্র সন্তোষ সুমন মাঝিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে সন্তোষ সুমন মাঝি নীতীশ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ফের তাঁকে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও পিতা-পুত্র বিজেপিতেই ঝুঁকে রয়েছেন। উল্লেখ্য, হাম পার্টির বিধায়ক সংখ্যা মাত্র চার।
প্রসঙ্গত, ২৪৩ সদস্যবিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বর্তমানে শক্তি ভারসাম্য হল— আরজেডির রয়েছেন ৭৯ জন বিধায়ক। তারাই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরপর রয়েছে বিজেপি, বিধায়ক সংখ্যা ৭৮। জেডিইউয়ের ৪৫। ১৯ কংগ্রেসের। সিপিআইএমএল ১২, সিপিআই ও সিপিএম ২টি করে। নির্দল একজন। মিমের একজন।
অন্য খবর দেখুন