কোচবিহার: কোচবিহারের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা সম্পর্কে একটি কথাও শোনা গেল না সোমবার। এদিনই উত্তরবঙ্গ থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বিহারে পৌঁছেছে। বিহার থেকে আবারও যাত্রা আসবে উত্তরবঙ্গে। মালদহ হয়ে মুর্শিদাবাদে ঢুকবে রাহুলের যাত্রা।
মুখ্যমন্ত্রী রবিবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি প্রথম সভা করেন কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে। সেখান থেকে তিনি যান জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে। জলপাইগুড়ি থেকে তাঁর শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় কর্মসূচি রয়েছে। কোথাও তিনি কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা নিয়ে একটি কথাও বলেননি।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুর্গাপুর, চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন
উত্তরবঙ্গে রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ২৬ জানুয়ারি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে মমতাকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, প্রতিবেশী রাজ্যে রাহুলের ন্যায় যাত্রার উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে। আমার আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গেও ওই ধরনের হামলা হতে পারে। আমি নিশ্চিত নই, রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্যই ওই হামলা হবে কি না। কংগ্রেস সভাপতি তার জন্যই রাহুলের যাত্রা চলাকালীন উত্তরবঙ্গে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
আবার শনিবার কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের জাতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ মমতাকে ন্যায় যাত্রায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কিছুক্ষণের জন্য হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রায় থাকলে আমরা খুশি হব। রবিবার রাহুলের যাত্রায় সঙ্গী হন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার। সিপিএম নেতা-কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়েই হাজির ছিলেন রাহুলের ন্যায় যাত্রায়। সোমবার কোচবিহারের সভায় মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস সভাপতির চিঠি কিংবা জয়রাম রমেশের অনুরোধ নিয়ে একটি কথাও বলেননি। তাঁর মুখে সিপিএমের নিন্দা করতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে সিপিএম কোচবিহারের জন্য কোনও কাজ করেনি। যা করার, আমরা করেছি ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর। তাঁর কথায়, আমি কী না করেছি উত্তরবঙ্গের জন্য। প্রসঙ্গত, আপাতত কয়েকদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকছেন। শিলিগুড়ি থেকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে তিনি কৃষ্ণনগরে যাবেন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: