কলকাতা: সামনে এল চল্লিশোর্ধ ব্যক্তির বিকৃত মানসিকতার (Distorted Mind) এক আজব নেশার ঘটনা। একের পর এক প্রশাসনের (Administration) শীর্ষ কর্তাদের টার্গেট করে অশ্লীল ইমেল করা তার নেশা। এবছরের শুরু থেকে যা নিয়মিতভাবে চলে আসছিল প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে। কে নেই সেই তালিকায়? রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary), স্বরাষ্ট্রসচিব (Home Secretary), ডিজি (DG), কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner)। মোদ্দা কথা, যাঁদের উপর রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার (Security) ভার রয়েছে, তাঁদের টার্গেট করে ইমেল পাঠাচ্ছিল সে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের (Cyber Crime) দুঁদে গোয়েন্দাদের (Investigator) নাকানিচোবানি খাইয়ে ছেড়েছে সে। এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে মেল পাঠাচ্ছিল যাতে কিছুতেই তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবেশেষে শিলিগুড়ি থেকে ধরা পড়ে কীর্তিমান দীপাঞ্জন মিত্র (Dipanjan Mitra) (৪৬) এখন শ্রীঘরে (Jail) ঠাঁই পেয়েছে।
প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের লাগাতার কুরুচিকর ইমেল (Email) পাঠানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) বিভাগ। গত ৩ জানুয়ারি থেকে লাগাতার এই ইমেল চলে আসছে। অবশেষে শিলিগুড়ি থেকে শনিবার দীপাঞ্জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। মঙ্গলবার তার ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: বিশ্বভারতীর গৃহবন্দি উপাচার্য বাড়ি ছাড়তে চাওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা, মোতায়েন পুলিশ
ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত (Suomoto) হয়ে তদন্ত শুরু করে। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তার আইপি ট্র্যাক করতে শুরু করে। তাতে দেখা যায়, প্রোটন মেল সার্ভিস ব্যবহার করে মেল আসছে। যেখানে আইপি অ্যাড্রেসের নাগাল পাওয়া খুব কঠিন। তাই তদন্তকারীদের বেগ পেতে হয়। কিছুতেই তাকে বাগে পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জানার চেষ্টা চলছে কী কারণে সে এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছিল?