তাঁর ভারত জোড় যাত্রা শুরু হয়েছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে। আর প্রায় দুমাসের কাছাকাছি সে যাত্রা চলার পর ১ নভেম্বর হায়দরাবাদের চারমিনারে এসে যেন বাবার স্মৃতিতে খানিকটা আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সোমবার সে কথা স্মরণ করেই টুইটে রাহল গান্ধী লিখলেন ৩২ বছর আগে হায়দরাবাদের চারমিনারেই সদ্ভাবনা যাত্রা শুরু করেছিলেন বাবা। দেশের অখণ্ডতা আর একতা অটুট রাখার লড়াইয়ে তিনি নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।
আর তারপরেই সদ্ভাবনার তাৎপর্যও যেন টুইটে ব্যাখ্যা করলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, মানবতার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সদ্ভাবনা। আমি এবং দল হিসাবে কংগ্রেস কখনই মানবতার এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যকে কোনও বিভেদকামী শক্তির নানা অপচেষ্টা সত্ত্বেও নষ্ট হতে দেব না। রাজনৈতিক মহল বলছে আন্দোলনের পথে হাঁটতে গিয়ে রাস্তাকেই একমাত্র রাস্তা বেছে নিয়ে যেন আরও স্থিতধী হয়ে উঠছেন সোনিয়া-তনয়। হয়তো নামদার-কামদার তরজায় তিনিও ছাপান্ন ইঞ্চির সামনে বুক ঠুকে বলতে পারবেন, আমি সেই পরিবারের একজন যাদের দুই সদস্য দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন।
সোমবারই তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের “ভারত জোড়ো” যাত্রায় শামিল হয়েছেন রাধিকা ভেমুলা। রোহিতের মাকে আলিঙ্গন করে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন রাহুল। রাহুলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন রোহিত ভেমুলার মা-ও। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করেন তিনি। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মা টুইটে লিখেছেন, “সংহতির জন্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটলাম। বিজেপি এবং আরএসএসের আক্রমণ থেকে সংবিধান বাঁচাতে, রোহিত ভেমুলার জন্য ন্যায়বিচার, দলিতদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার আরজি জানিয়ে এলাম।” পরে রাহুলও টুইটে জানিয়েছেন, “রোহিত ভেমুলা সামাজিক বৈষম্য এবং অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। রোহিতের মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমরা নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস এবং মনে নতুন করে শক্তি পেয়েছি।”