কলকাতা: এবার রেলের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ফরসোর রোডের কাছে ডিউক রোডে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ (Raf) সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force)। সেখানে রেলের জমি দখল করে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকশো মানুষ বসবাস করছেন। মঙ্গলবর ওই জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের আধিকারিকরা (Rail Official) সেখানে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে দখলদারদের। শাসকদলের (Rulling) সমর্থকরাও ওই বিক্ষোভে ছিল বলে জানা গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ (Court Order) থাকা সত্ত্বেও অধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় রেলের অধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) এক জনসভায় (Public Meeting) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া কোথাও উচ্ছেদ করা চলবে না। রেল হোক বা বন্দর হোক, কোথাও বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদের নীতিতে তৃণমূল বিশ্বাসী নয়। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, উচ্ছেদ করতে এলে বাধা পেতে হবে।
আরও পড়ুন: Basirhat Incident: বসিরহাটে বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম শিশু সহ ২
শাসকদলের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ নিয়ে এ ভাবে একতরফা কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। রেলের অধিকারিকদের থেকে নির্দেশনামার কপিও সংগ্রহ করা হয়। আগামী ১৪ ডিসেম্বর আদালতে এই উচ্ছেদ মামলার পুনরায় শুনানি ধার্য করার দিনে নতুন করে আবেদন জানানো হবে বলে জানান তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী শিল্পী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে বুলডোজার চালিয়ে গরিবের ঘর ভেঙে দেওয়া হবে। উন্নয়ন হোক এটা আমরাও চাই। তবে বসবাসকারী পরিবারদের সঠিক পুনর্বাসন দিতে হবে।
রেল অধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, এখান থেকে উচ্ছেদ করা হলে তাঁরা পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবেন? বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাওড়া সিটি পুলিশ। তারা এসে রেল অধিকারিকদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
যদিও এই মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি রেলের আধিকারিকরা। ফের দখল মুক্ত করতে চান তাঁরা।