মুম্বই: মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৭ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। লন্ডন (London) থেকে মুম্বইমুখী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) একটি বিমানের বাথরুমে ধূমপান (Smoking in Bathroom) করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। তারপর বিমানকর্মীরা (Crews) যখন তাঁকে বকাঝকা করতে থাকেন, তখন ওই ব্যক্তি পিছনের দরজা খুলে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে জোর করে না ঠেকালে মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
রমাকান্ত নামে ৩৭ বছরের ওই যুবক আদতে মার্কিন নাগরিক। লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে আসছিলেন। বিমানকর্মীদের অভিযোগ, বাথরুমে উনি ধূমপান করছেন বুঝতে পেরে তাঁকে তাঁরা সতর্ক করেন। এরপরই উনি বিমানের দরজা খুলতে যান। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এআই১৩০ নম্বর ফ্লাইটে রমাকান্ত নামে এক যাত্রী বাথরুমে ধূমপান করছিলেন। তাঁকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হলে তিনি বিমানকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কারও কারও উপর চড়াও হন।
আরও পড়ুন: Cordelia Mae Hawkins | ৯৮-এ নাতনির মেয়ের মুখ দেখলেন বৃদ্ধা, সোশাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল
সেই সময় তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি কারও কথা শোনেননি। বিমানের ভিতর চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। মুম্বইয়ে বিমানটি নামার পর তাঁকে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিমান চলাচল মন্ত্রককেও ঘটনাটির বিষয়ে জানানো হয়েছে। তদন্তে আমরা সবরকম সহযোগিতা করব। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ কোনও আপসে রাজি নয়। আমাদের কাছে যাত্রী সুরক্ষাই অগ্রাধিকার পায়।
বিমান সংস্থার এক কর্মী আরও জানিয়েছেন, বিমানে ওঠার পর ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। উনি বাথরুমে ঢোকার পরই সতর্কতামূলক ঘণ্টি বেজে ওঠে। আমরা বাথরুমের দিকে ছুটে গিয়ে দেখি, উনি বহাল তবিয়তে হাতে জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমরা তখন ওনার হাত থেকে সিগারেটটি নিয়ে ফেলে দিই। তখন উনি আমাদের উপর চোটপাট শুরু করেন। ওই অবস্থায় রমাকান্তকে তাঁর আসনে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি হঠাৎ করে বিমানের দরজা খুলতে যান।
তাঁকে বিমানের দরজা খুলতে দেখে অন্য যাত্রীরা ভয়ে চিৎকার জুড়ে দেন। কিন্তু, রমাকান্ত আমাদের কথা না শুনে চিৎকার করতে থাকেন। ওনাকে দমাতে না পেরে সবাই মিলে চেপে ধরে হাত-পা বাঁধা হয়। ওই অবস্থাতেই তাঁকে তাঁর আসনে বসিয়ে রাখা হয়। পরে মুম্বই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন, নাকি তাঁর মানসিক ভারসাম্যের অভাব রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।