কলকাতা: চন্দ্রযান তিন (Chandrayaan 3) কাজ শুরু করে দিয়েছে চাঁদে। স্পেকটোমিটারের সাহায্যে বিশ্লেষণ করা হবে চাঁদের (Moon) মাটি। ইলেকট্রনের ঘনত্ব দেখা হবে। সেই তথ্য রোভার দেবে বিক্রমকে। বিক্রম তা পাঠিয়ে দেবে পৃথিবীতে (Earth)। কিন্তু এর পরে কী হবে? এরপর চন্দ্রযান ৪-এর (Chandrayaan 4) প্রস্তুতি নেওয়া কি তবে শুরু হয়ে যাবে?
জানা গিয়েছে, চন্দ্রাভিযানকে এর পরের ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেই পর্য়ায়ে ভারত একা নয় অন্য দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগোবে ইসরো। ২০২৬ সালের মধ্যে অভিযানের কাজ শেষ হতে পারে। জানা গিয়েছে, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।ভারত ও জাপান যৌথভাবে চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযানে কাজ করবে। এই অভিযানের নাম হবে লুপেক্স (Lupex) বা লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন। মূলত চাঁদের মেরুকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করবে জাপান ও ভারত। সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা হবে তা হল চাঁদে জল রয়েছে কি না। বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ, টেলিস্কোপ ও ভিন্ন ক্যামেরার মাধ্যমে জলের অস্তিত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। লুপেক্স সেই চর্চার অবসান ঘটাবে। চন্দ্রযান ৪ ভারত ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কেরও অনেকটা অগ্রগতি ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর সফল অভিযানে বাংলার সাত বিজ্ঞানীর অবদান
চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করার কথা ছিল ২৩ অগাস্ট ভারতীয় সময় সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে। প্রাট ৫০ সেকেন্ড আগেই চাঁদে পৌঁছে যায় সে। আপাতত চার ঘণ্টা বিশ্রাম নেয় বিক্রম। তারপর বিক্রমের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরুতে চলেফিরে বেড়াবে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের এই দুরন্ত সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আছেন তিনি। সেখান থেকেই ল্যান্ডিং মডিউলের সফল অবতরণ লাইভ দেখেন তিনি। রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত পেরিয়ে সাফল্য আসতেই অভিনন্দন জানান ইসরোর বিজ্ঞানীদের এবং তামাম ভারতবাসীকে।