কলকাতা: চাকরি বাতিল নিয়ে আদালতের কোনও তাড়াহুড়ো নেই। তবে কিছু বিনিদ্র রাত কাটাতেই হবে আপনাদের। কারণ দুর্নীতিতে আপনাদের নাম জড়িয়েছে। বুধবার নবম-দশমের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Biswajit Basu)। পাশাপাশি এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী প্রতীক ধর বলেন, তাঁদের আশঙ্কা নিশ্চয়ই একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু অযথা আমার মক্কেলদের দিকে তির ছোড়া হচ্ছে। আগামীকাল ফের শুনানি।
বিচারপতি বসু এদিন এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, দুর্নীতি দূর করতে গিয়ে অন্য কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো?। আইনজীবীর যুক্তি, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা ছাড়াও তাঁদের পরিবার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারও স্ত্রী হেনস্তার মুখে পড়ছেন, কারও সন্তান হেনস্তার ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। দুর্নীতির সুবিধা না নিলেও তাঁদের এভাবে ভুগতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নয় ডিভিশন বেঞ্চ
আইনজীবীর এই বক্তব্যের পাল্টা বিচারপতি বলেন, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে আদালতের কোনও তাড়া নেই। এই দুর্নীতিতে অনেকেই যুক্ত আছেন। তাই কিছু বিনিদ্র রাত্রি তো কাটাতেই হবে। তিনি আরও বলেন, এটাও মেনে নিতে হবে, আমরা যে সমাজে বাস করি, সেখানে এর থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। সহানুভূতি চাইবেন না।
উল্লেখ, স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা নিযুক্ত নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। কমিশন জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রুপ ডি’র একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিচারপতির এজলাসেই এজি বলেছিলেন, একসঙ্গে এত চাকরি গেলে স্কুলগুলিতে ঘণ্টা বাজানোরও লোক থাকবে না। ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে ছিল সেই মামলা।