কলকাতা: কোভিডের (Covid-19) কালো ছায়া সরে যেতে না যেতেই শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adinovirous)থাবা বসিয়েছে। এই ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বারোশো’র বেশি শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে (Hospital)ভর্তি। মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। বেসরকারি হিসেবে সোমবার থেকে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department) মঙ্গলবার ১০টি নির্দেশিকা-সহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
কী কী নির্দেশিকা জারি হয়েছে?
১। শিশুদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (EMR) রোধ করতে রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল-সহ সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টার জন্য এআরআইয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা পরিবারের লোককে যাতে বহির্বিভাগে (OPD) বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, সে বিষয়ে জোর দিতে হবে।
৩। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সব সময় একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওপিডি শেষ হয়ে গেলেও কাউকে না কাউকে পরিষেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Adeno virus: ২৪ ঘণ্টায় ৩ শিশুর মৃত্যু কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে
৪। হাসপাতাল সুপারের সুপারিশ ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে অন্যত্র রেফার করা যাবে না।
৫। এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সিনিয়র রেসিডেন্ট-সহ জুনিয়র চিকিৎসকদেরও এআরআই আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় নিয়োগ করতে হবে।
৬। সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের কিছু সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশিকা জারি করেছে। মাস্ক পরা ও ভিড় এড়ানোর মতো বিষয়গুলিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছে।
৭। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য আশা কর্মীদের সাহায্য নিতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
৮। এআরআইয়ের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৯। সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও সচেতন হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
১০। সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার একটি ইমার্জেন্সি নম্বর চালু করেছে। নম্বরটি হল ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২
 কালো ছায়া সরে যেতে না যেতেই শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adinovirous)থাবা বসিয়েছে। এই ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বারোশো’র বেশি শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে (Hospital)ভর্তি। মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। বেসরকারি হিসেবে সোমবার থেকে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department)মঙ্গলবার ১০টি নির্দেশিকা-সহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।){kind=link}