রথযাত্রা: হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম উৎসব রথযাত্রা। রথযাত্রা এক বিশেষ পূণ্য তিথি, এই তিথিতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা নগর ভ্রমণ প্রচলিত আছে। রথ হল জয়ের প্রতীক। কথিত রয়েছে, রথ দেখলে আধ্যাত্মিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, চিত্তশুদ্ধি ঘটে। শাস্ত্র মতে, রথ টানার সময় একজন যদি তা দাঁড়িয়ে দেখেন তাতে তাঁর অন্তরে থাকা সমস্ত পাপের মোচন ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গজীবনের মজার আঙ্গিক নিয়ে প্রবাসী বাঙালির ‘বাঙালিয়ানা’
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে হয় রথযাত্রা (Jagannath Mahaprabhu Rathyatra)। আর আষাঢ় শুক্লা একাদশী তিথিতে উল্টো রথ যাত্রা করে মাসির বাড়ি থেকে ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে এই বছর আষাঢ় মাসের কৃষ্ণ পক্ষ কমে যাওয়ায় দিনক্ষণের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। চলতি বছরে ৭ জুলাই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা (Rath Yatra 2024)। রথযাত্রার এই পূণ্য তিথিতে, সহজ কিছু টোটকার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে জয় করে নিতে পারেন-
- কথিত রয়েছে, মনস্কামনা পূরণের জন্য ১১ রকমের ফল, ১১ রকমের মিষ্টি এবং ১১টি এক টাকার কয়েন একটি হলুদ কাপড়ে করে জগন্নাথদেবের আসনে রাখুন। বাড়িতে নারায়ণ থাকলে তাঁর সামনেও এই ব্রত পালন করতে পারেন। একটি পেতলের বাটিতে একটু আতপ চাল, দুটো কাঁচা হলুদ এবং ১ টাকার একটি কয়েন দিন, মঙ্গল হবে।
- শাস্ত্র মতে, তুলসি জগন্নাথদেবের সবচেয়ে প্রিয় তাই ১০৮টি তুলসী পাতা দিয়ে মালা তৈরি করুন, ১০৮টি পাতা না থাকলে ৫৪টি পাতা দিয়ে মালা তৈরি করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন তুলসির পাতা ফুটো না হয়। তুলসি পাতার ডগাগুলিকে বেঁধে বেঁধে মালা তৈরি করতে হবে। মালাটি জগন্নাথ দেবকে উৎসর্গ করুন। পরিবারে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি আসবে।
- রথযাত্রা উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউ অংশ নিলে পূণ্যার্জন হয়, সারাজীবন জগন্নাথের আশীর্বাদ মেলে।
- শাস্ত্র মতে, রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে গঙ্গাস্নান করাকে শুভ বলে মনে করা হয়। এইদিন শুদ্ধ মনে গঙ্গাস্নান করে জগন্নাথদেবের আরাধনা করলে মঙ্গল হবে।
- জগন্নাথ মন্ত্র জপ করলেও পুণ্য হয়। মন্ত্রটি হল- জগন্নাথ স্বামী, নয়ন পথগামী, ভবতু মে।
- রথযাত্রার পূণ্যলগ্নে বাড়িতে যাঁদের দুর্গাপুজো হয়, তাঁরাও এইদিনে খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠান করেন। একাধিক বারোয়ারি পুজোরও খুঁটিপুজো করা হয়ে থাকে এই রথযাত্রার দিনেই।
আরও খবর দেখুন