বিশ্বের দামী মশলার অন্যতম, কেশর । এর মন মাতানো ফ্লেভার ও গন্ধ নিমেষে রান্নায় চমক এনে দেয়। তবে কেশর যে শুধু রান্নায় চমক আনে তা কিন্তু নয় বরং ত্বকের পরিচর্যায়ও কেশর বেশ উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কেশর ভীষণ শক্তিশালী। পাশাপাশি কেশরের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতাও রয়েছে। জেনে নিন রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও স্বাস্থ্য পক্ষেও কীভাবে এত উপকারী এই কেশর।
১. কেশরে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটা শরীরের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে বাঁচায়।
২. জানেন কি সানশাইন স্পাইস বলা হয় কেশরকে তার কারণ কিন্তু কেশরের রঙ নয় বরং কেশরের মন ভাল করার ক্ষমতা। বেশ কিছু রিসার্চে, মাইল্ড থেকে মডারেট ডিপ্রেশন সারাতে কেশরের উপকারিতার কথা উঠে এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কেশর আর কত কার্যয়করী হতে পারে এই নিয়ে এখনও বিষদে গবেষণা চলছে।
৩. যেহেতু প্রচুর পরিমানে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে কেশরে তাই মনে করা হচ্ছে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ নষ্ট করতেও কার্যকরী হবে কেশরে থাকা এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৪. কেশর খেলে এবং কেশরের গন্ধ শুঁকলে প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম যেমন মাথাব্যাথা,যন্ত্রণা, উদ্বেগ, মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৫. নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কামোত্তেজক হিসেবে উপকারী কেশর। অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট হিসেবেও কেশর ভীষণ কার্যকরী
৬. ওজন কম করতেও সাহায্য করে কেশর। খাবারে কেশর থাকলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরে থাকে এবং বার বার খিদে পায় না। এর ফলে এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তবে এখানেই শেষ নয় এছাড়াও অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারে কেশর যেমন হার্টের সমস্যা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, চোখের জন্য উপকারী এবং স্মৃতিশক্তি ভাল রাখে। তবে এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
কীভাবে খাবারে ব্যবহার করবেন কেশর
কেশরের অসামান্য ফ্লেভার ও সুগন্ধি যদি কাজে লাগাতে চান তা হলে কেশরকে প্রথমে গরম জলে ভিজিয়ে নিন। তবে ফুটন্ত জলে দেবেন না। এর পর কেশরের এই রোঁয়া ও কেশর ভেজানো জল খাবারে মিশিয়ে দিন। কেশর যেমন দামী তেমন আবার খুব অল্প পরিমানেও কেশরই দারুণ কাজের।
(ছবি সৌ :Unsplash)