কলকাতা: বয়স বাড়ার সঙ্গে মানবদেহে বাসা বাঁধে নানান রোগব্যাধি। বার্ধক্যে পৌঁছলেই সঙ্গী হয় ওষুধপত্র, চিকিৎসকের হুঁশিয়ারি। এমনকী অস্ত্রোপচারও করতে হয় অনেককেই। জানেন কি, শুধুমাত্র মনের জোরে সুস্থ থাকা যায় বৃদ্ধ বয়সেও? রমেশ মেন্দা (Ramesh Menda), মিয়াকেয়ারের (MYACARE) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এরকমই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
৮০ বছরের রমেশ জানিয়েছেন, তিনি ৬০ বছর বয়স থেকে যতটা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থতা অনুভব করেছেন তা যৌবনেও করেননি। এর জন্য কোনও রকম অস্ত্রোপচার, একগাদা ওষুধপত্র খাননি তিনি। স্রেফ জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাভ্যাস, হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে নিজেকে তরতাজা রেখেছেন অশীতিপর রমেশ।
আরও পড়ুন: বয়সের ছাপ কমাতে ঘরে বসেই ত্বকের যত্ন! সহজ ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই ফিরবে উজ্জ্বলতা
যৌবন পেরতে না পেরতেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা, টাইপ টু প্রি-ডায়াবেটিস, হাঁটুতে বাত, স্লিপ অ্যাপনিয়া সহ একাধিক রোগের শিকার হন রমেশ। চিকিৎসকরা তাঁকে অস্ত্রোপচার এবং ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি নিরাময়ের অন্য উপায় খুঁজছিলেন এবং তা পেয়েও যান।
হাঁটুর ব্যথা এমন অবস্থায় পৌঁছেছিল যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারতেন না। সেই সমস্যা দূর করতে অগভীর জলে হাঁটার অভ্যাস করেন। এখন সহজেই ৫০০ ধাপ উঠে যান। ডায়াবেটিসের সমস্যার সমাধানে ডায়েট পাল্টে ফেলেন। খাবারের তালিকা থেকে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে দেন, তার জায়গায় কম কার্বোহাইড্রেটের শাকসবজি আনেন। এছাড়া প্রোটিন এবং ভালো ফ্যাটের খাবার খান।
স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যায় এককালে যন্ত্র ব্যবহার করতে হত। প্রাণায়ম এবং যোগাভ্যাস করে সেই সমস্যা দূর হয়েছে। শরীর সুস্থ রাখতে সবাইকে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন রমেশ। নিজে ১০ থেকে ১৪ হাজার পা হাঁটেন। এর সঙ্গে রয়েছে তাঁর বাগানের শখ। রমেশ বলছেন, বাগান পরিচর্যার কাজ শুধুমাত্র তাঁকে মনের আনন্দ দেয় না, শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
দেখুন অন্য খবর: