রথযাত্রা: প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে হয় রথযাত্রা (Jagannath Mahaprabhu Rathyatra)। আর আষাঢ় শুক্লা একাদশী তিথিতে উল্টো রথ যাত্রা করে মাসির বাড়ি থেকে ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে এই বছর আষাঢ় মাসের কৃষ্ণ পক্ষ কমে যাওয়ায় দিনক্ষণের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। চলতি বছরে ৭ জুলাই, রবিবার জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা (Rath Yatra 2024)।
রথযাত্রা মানেই সবার প্রথমে আমাদের মাথায় পুরীর কথা। রথযাত্রার দিন জগন্নাথ দেবের কৃপা লাভ করতে অনেকেই নানা রকম উপাচার পালন করেন। এইদিন পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ দেবের ভোগ প্রসাদে মূলত দুই ধরনের খাবার দেওয়া হয়। এক দিকে থাকে ভাত, ডাল, তরিতরকারি, খিচুড়ি জাতীয় রান্না করা খাবার। আর থাকে খাজা, গজা, খই, মুড়কি জাতীয় শুকনো খাবার।
আরও পড়ুন: রথযাত্রার দিন মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
মহাপ্রভুর অত্যন্ত প্রিয় খাবার হল খিচুড়ি। যা তাঁকে নিত্যদিন ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়। তাছাড়া তাঁকে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। সেগুলো হল, উখুদা (মুড়ি), নাড়িয়া কোড়া (নারকেল নাড়ু), খুয়া (খোয়া ক্ষীর), দই, পাচিলা কাঁদালি( কাটা কলা), কণিকা (সুগন্ধি ভাত), টাটা খিঁচুড়ি (শুকনো খিঁচুড়ি), মেন্ধা মুন্ডিয়া (কেক), বড়া কান্তি (বড় কেক), মাথা পুলি (পুলি পিঠে), হামসা কেলি (মিষ্টি কেক)।
এছাড়াও থাকে, নারকেল দিয়ে তৈরি এক ধরনের কেক, আদাপচেদি (আদা দিয়ে তৈরি চাটনি), শাক ভাজা, মরীচ লাড্ডু (লঙ্কার লাড্ডু), ঝিলি, করলা ভাজা, ছোট্ট পিঠে, বারা (দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি), আরিশা (ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি)। বোঁদে, পান্তা ভাত, দুধভাত, কাদামবা (বিশেষ মিষ্টি), পাত মনোহার মিষ্টি, তাকুয়া মিষ্টি, ভাগ পিঠে, গোটাই (নিমকি), দলমা (ভাত ও সবজি), কাকারা মিষ্টি, নোনতা বিস্কুট, আমালু (মিষ্টি লুচি), বিড়ি পিঠে, চাড়াই নাডা মিষ্টি, খাস্তা পুরি, কাদালি বারা, মাধু রুচি মানে (মিষ্টি চাটনি), সানা আরিশা, পদ্ম পিঠে, পিঠে, কানজি মানে চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি, দাহি পাখাল মানে দই ভাত।
আরও খবর দেখুন