Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeফিচারMen And Women Ratio: নিখোঁজ পুরুষেরা সব কোথায় হারিয়ে গেল?

Men And Women Ratio: নিখোঁজ পুরুষেরা সব কোথায় হারিয়ে গেল?

Follow Us :

নিখোঁজ পুরুষদের কথা দিয়ে এবারের লেখা শুরু। প্রশ্নটা তুলেছেন, রাজনীতি-সমাজনীতির গবেষক ক্রিস্তফ জাফেরলট। সাদা চোখে খবরটা আনন্দের। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫-এর তথ্য বলছে এখন ভারতে প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১০২০। এরকম আগে কখনও হয়নি। এই যেখানে অবস্থা, সেখানে দেখা যাচ্ছে শিশুকন্যা এবং শিশুপুত্রের জন্মের অনুপাত কিন্তু একেবারেই অন্য রকম। সেখানে শিশুকন্যারা বেশ পিছিয়ে। ২০১৫-১৬তে শিশুকন্য এবং শিশুপুত্রের জন্মহারের অনুপাত ছিল প্রতি হাজার শিশুপুত্রের জন্মের বিপরীতে ৯১৯ শিশুকন্যার জন্ম। এই অনুপাত ৯২৯ প্রতি ১০০০-এ ছিল ২০১৯-২০২১ সময়ে। কিছু রাজ্যে হাজার শিশুপুত্র পিছু কন্যা সন্তানের জন্ম হার খুবই কম। যেমন গোয়া ৮৩৮, হিমাচল প্রদেশ ৮৭৫, তেলেঙ্গানা ৮৯৪ । শুধু তাই নয় চতুর্থ এবং পঞ্চম ন্যাশনাল হেলথ সার্ভের তথ্য অনুসারে দেখা যাচ্ছে তামিলনাড়ু, চণ্ডিগড়, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কিছু রাজ্যে কন্যা সন্তান জন্মের হার কমে চলেছে। যেমন তামিলনাড়ু প্রতি হাজার শিশুপুত্রের জন্ম পিছু কন্যাশিশু জন্ম ৯৫৪ থেকে কমে হয়েছে ৮৭৮। তাহলে প্রশ্নটা হল, জন্মে মেয়েরা পিছিয়ে থেকেও দেখা যাচ্ছে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে-৫-এর রিপোর্ট অনুসারে এখন ভারতে প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১০২০। অর্থাৎ, বহু পুরুষ ‘নিখোঁজ’। এই বিরাট সংখ্যক পুরুষ হারিয়ে গেল কী করে? কোথায় গেল তারা? একটা উত্তর, হতে পারে, কোভিডে মহিলাদের থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় পুরুষদের মৃত্যু হয়েছে। তার ফলে সমীক্ষায় এমন ছবি উঠে এসেছে। আর একটা কারণ হতে পারে, বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক সমীক্ষার সময় বাড়িতে ছিলেন না। কারণ সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, গত রাতে বাড়িতে কে কে ছিলেন? অথবা এই দুটোই কারণ হতে পারে।

কালীচরণের মুক্তি চাই
কালীচরণ মহারাজ একজন তথাকথিত ধর্মগুরু। উন্মাদও বলা যায় তাঁকে। কিছু আনুগামী-টনুগামি তাঁরও আছে। ১৪০ কোটির এই ভারতে তিনি কিছু অনুগামী পাবেন না সে কি হয় না কী! তিনি গান্ধী সম্পর্কে অসম্মান্নক কথা বলেছেন। গান্ধী দেশটাকে ইসলামের হাতে তুলে দিতেন, তাঁকে হত্যা করে নাথুরাম ঠিক কাজই করেছে, এই তাঁর মত, যা তিনি ছত্তিশগড়ে এক ভক্ত সমাগমে বলেছেন। এর পরই ছত্তিশগড় পুলিস তাঁকে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে হিন্দুত্ববাদীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি ছত্তশগড় পুলিশ-কর্তার কাছে এই বাবাজিকে গ্রেফতারের ‘পদ্ধতি’ ঠিক ছিল না বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন বাবাজির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন?
কারও যদি মনে হয় গান্ধী ভারতের ক্ষতি করেছেন, তাকে হত্যা করে নাথুরাম ঠিক করেছেন, এই মনে হওয়ার জন্য বা এই কুৎসিত কথা বলার জন্য কারও শাস্তি হতে পারে না। তাঁর প্রাপ্য অবহেলা, করুণা। ভারতের সংবিধান দেশের নাগরিকদের এই ধরনের কথা বলার স্বাধীনতাও দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর দল এবং নানা রঙের এবং মাপের হিন্দুত্ববাদীরা এই ধরনের সমালোচনার অধিকারে বিশ্বাস করে না। পান ধেকে চুন খসলেই তারা বলে ওঠে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই যুক্তিতেই কখনও আক্রান্ত হন মকবুল ফিদা হুসেইন কখনও সালমন খুরশিদ। আপনি ইসলাম নিয়ে বলতে পারবেন না, হিন্দু দেব-দেবী নিয়ে বলতে পারবেন না, আপনি শিবাজি নিয়ে বলতে পারবেন না। ২০১৩ সালে খুশবন্ত শিং রবীন্দ্রনাথের শিল্প নিয়ে কিছু মন্তব্য করতেই বাঙালি রে রে করে উঠেছিল।
এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আধুনিক মন নিয়ে আমাদের কালীচরণদের সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করা শিখতে হবে। ধর্ম এবং ক্ষমতার সমালোচনা করেই মানুষ এগিয়েছে। ভুল সমালোচনা, অযৌক্তিক সমালোচনাও জরুরি, ভীষণ জরুরি। কারণ ভুল সমালোচনা বন্ধ করার যুক্তিতে ঠিক সমালোচনার পথটাও রুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। সেই ঝুঁকি কোনও আধুনিক সভ্য সমাজ নিতে পারে না।

প্রাণের দাম
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, হিমন্তবিশ্ব শর্মার পুলিশপ্রেম সারা দেশেই আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি কিছু দিন আগেই বেশ গর্ব করে বলেছিলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের অবস্থান হল, ‘জিরো টলারেন্স’। এবং পুলিশের এনকাউন্টারে খুন হতে থাকল একের পর এক ‘অপরাধী’। যাদের মধ্যে সত্যি কত জন অপরাধী তা নিয়ে আমাদের কোনও ধারণাই নেই। একই ঘটনা ঘটেছে যোগীর উত্তরপ্রদেশে। নেতারা বুক বাজিয়ে বলছেন কত জনকে মারা হয়েছে এনকাউন্টারে। পুলিশের অযোগ্যতার জন্যই মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে বিরক্তি জন্মায়। তার পর এনকাউন্টার কিলিং-এর মধ্যে দিয়ে আবার কিছু পুলিশ বীর হয়ে ওঠেন। এ এক বিপজ্জনক খেলা। গণতন্ত্রের ইতিহাসে এর কোনও স্থান নেই। আমরা ৭০-এর দশকে কলকাতায় নকশালপন্থিদের এনকাউন্টার কিলিং-এর সাজানো গল্পের ইতিহাস জানি। হিমন্তবিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর গত ৮ মাসে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্য ২৮, জখম ৬২। অর্থাৎ, মাসে প্রায় সাড়ে তিন জনের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে, জখম মাসে প্রায় ৮ জন। কেউ কেউ দাবি করছেন এই নিহত এবং আহতদের বড় অংশ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের। এই অভিযোগ সত্যি হল বিষয়টি আরও সন্দেহজনক। আইনজীবী আরিফ জাদ্দার গুয়াহাটি হাই কোর্টে মামলা করে জানতে চেয়েছেন এই নিহতেরা কারা? কী তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ? কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হল? হাই কোর্ট অসম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে নিহত এবং জখমদের বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে। আমরা আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।

কৃষকের আত্মহত্যা
মানিক শেখ আর গণেশ ঘোষের মধ্যে মিল কোথায়? মিল একটাই । দু’জনেই বর্ধমানের চাষি। দু’জনেই ঋণ নিয়ে চাষ করার পর অকাল বৃষ্টিতে আর ঝড়ে ধান, আলু নষ্ট হওয়ায় দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে বিষাক্ত মদ খেয়ে ডায়মন্ডহারবারে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুর পর প্রথম তৃণমূল সরকার নিহতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল। এই নিয়ে তখন খুব তর্ক হলেও অনেকেরই মত ছিল গরিব মানুষের পাশে তো সরকারকেই দাঁড়াতে হবে। বিষাক্ত মদ খাওয়াটা তার দারিদ্রেরই পরিচয়। ১২ বছর বাদে প্রশ্নটা ঘুরে এসেছে এই ভাবে যে, কেন কৃষকের আত্মহত্যায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে পাশে দাঁড়াবে না সরকার!

কত জন কৃষক এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন? সব তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে শুধু কালনাতেই যে ক’টা নাম পাওয়া যাচ্ছে তাঁরা হলেন, মানিক শেখ, পান্নালাল মুদিরায়, গণেশ ঘোষ এবং ভাস্কর মণ্ডল। ২০০২-০৩-এ যখন যখন উত্তরবঙ্গের চা-বাগানে না-খেয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু হচ্ছে, কারও কারও ডেথ সার্টিফিকেটে ডাক্তাররা লিখছেন ‘ডেথ ডিউ টু ম্যাল নিউট্রিশন’, তখন বাম ফ্রন্ট সরকারের বক্তব্য ছিল ওঁরা টিবিতে মারা গেছেন। ২০০৪-এর জুলাইয়ে আমলাশোলে পাঁচ জনের না খেতে পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে সরকারি বামপন্থিদের বক্তব্য ছিল, কারও মৃত্যু মদ খেয়ে, কারও লিভার পচন ধরে, কারও মৃত্যুর কারণ যক্ষা, কারও বয়স জনিত কারণে। অথচ এই বামপন্থীরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন না তখন তাদের মুখপত্র দেশহিতৈশী থেকে অনাহারে মৃত্যুর রিপোর্টিং কেমন হত তার দু’টো নমুনা এখানে তুলে ধরে যেতে পারে।
২০ অগস্ট ১৯৬৫। ‘অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা। গত ১১ অগস্ট নদিয়া জেলার হরিণঘাটা থানার মাধবপুর গ্রামের পাবনাপাড়ায় জনৈকা গৃহবধূ পেটের জ্বালায় ও অভাবের তাড়নায় বিষ খাইয়া আত্মহত্যা করিয়াছেন বলিয়া সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। গোটা থানা এলাকায় চাউলের অভাবে লোকে শাক-পাতা খাইতে আরম্ভ করিয়াছে’।

আরও পড়ুন- শাসক নির্লজ্জ, ভেঙে ফেলা হল লজ্জার স্মারক

৫ নভেম্বর, ১৯৬৫। ‘আলিপুর দুয়ার মহকুমায় ইতিমধ্যে ক্ষুধার জ্বালায় ১১ জন মানুষ মৃত্যু বরণ করিয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে’।
এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে সিপিএমের ওই পত্রিকা থেকে। রিপোর্টে মৃত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নাম নেই, সূত্র উল্লেখ নেই, প্রশাসনের কোনও বক্তব্য নেই, শাসক দলের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু যখন তাঁরা ক্ষমতায় এলেন, তখন তাঁরা যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ সহ এই ধরনের খবর দেখলেই বলতে শুরু করলেন, ওই সব মৃত্যু যক্ষায় বা মদ খেয়ে বা লিভারে পচন ধরে। এই রাজনীতির একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একটা তদন্ত কমিটি করুন বা মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কৃষকের আত্মহত্যা কারণ খতিয়ে দেখতে। মৃতদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটাও সরকারের আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করে দেখা উচিত। তাঁরা যে বাম ফ্রন্ট সরকারের থেকে আলাদা সেটা প্রমাণ করার দায় তাঁদেরই। কারণ, কৃষকের অভিশাপে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে তো আমরা দেখেছি মুখ থুবড়ে পড়ে বিদায় নিতে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Mamata Banerjee | 'নন্দীগ্রামে ছিল পিতা-পুত্র...?' তমলুকে মমতার নিশানায় শুভেন্দু!
48:07
Video thumbnail
৪টেয় চারদিক | 'কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ভোট করাবে'-ফের বিজেপিকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
29:47
Video thumbnail
পায়ে পায়ে ধর্মযুদ্ধে | জনসংযোগ করে প্রচার সারলেন অগ্নিমিত্রা
06:34
Video thumbnail
TMC | ‘অভিজিৎকে দেখার পর কে বিচারপতি আর কে নেতা, তা নিয়ে দেশবাসী বিভ্রান্ত’, মন্তব্য ব্রাত্যের
06:14
Video thumbnail
Bikash Ranjan Bhattacharya | SSC মামলার রায় নিয়ে আদালতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
04:36
Video thumbnail
Loksabha Election | জুনকে পাশে নিয়ে নাম না করে দিলীপকে কটাক্ষ, দাঁতন থেকে এবার মেদিনীপুর চান মমতা
28:09
Video thumbnail
Lok Sabha Election | বিধায়কের শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
02:19
Video thumbnail
Murshidabad | বড়ঞা বোমা বিস্ফোরণে রিপোর্ট তলব কমিশনের
02:13
Video thumbnail
SSC Chairman | 'আমরা ধরে নিতে পারি, বাকি ১৯ হাজার যোগ্য', কলকাতা টিভিকে বললেন এসএসসি চেয়ারম্যান
09:14
Video thumbnail
ধমযুদ্ধের দামামা | আরও ৫৯ হাজার চাকরি যাবে: অমরনাথ শাখার
17:00