কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বয়স ১০৪। তাতে কী? বয়সের ভার এবং সব প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়েছিলেন কেরলের কোট্টায়াম জেলার কুট্টিয়াম্মা। তিনি এই বয়সেও কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। যার এক গাল হাসি দেখে মনে সাহস পেয়েছিলেন হয়ত অনেকেই।
সম্প্রতি আবারও সোশাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে কুট্টিয়াম্মার সেই ছবি। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ছবিটি আপলোড করেছেন আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ। ক্যাপশনে লিখেছেন, কোট্টায়ামের ১০৪ বছর বয়সী কুট্টিয়াম্মা 'কেরালা লিটারেসি মিশন' পরীক্ষায় ৮৯/১০০ স্কোর করেছে। তাঁর হাসিটা দেখুন।
১০৪ বছর বয়সী কুট্টিআম্মা ছোটবেলায় কখনই স্কুলে যাননি। কিন্তু কথায় বলে লেখা-পড়ার কোনও বয়স হয় না। প্রবাদের সেই কথাকেই গত বছর অক্ষরে অক্ষরে সত্যি প্রমাণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেরলের সাক্ষরতা পরীক্ষা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল।
স্বাক্ষরতার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথমবার তাঁর পরিচয় হয়েছিল কাগজ কলমের সঙ্গে। কুট্টিয়াম্মার বাড়িতেই সকাল ও সন্ধ্যার ক্লাস হতো। ১০৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধাকে দেখে উৎসাহিতও হয়েছিলেন অনেকে। এমনকি এই বয়সে তাঁর অদম্য ইচ্ছা দেখে অবাকও হয়েছিলেন অনেকে।
কিন্তু দমেননি কুট্টিয়াম্মা। চালিয়ে গিয়েছিলেন লেখাপড়া। কোট্টায়ামের আয়রাকুন্নান পঞ্চায়েতের তরফে সাক্ষরতা পরীক্ষায় (Kerala State Literacy Mission) তিনি ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৯ পেয়েছিলেন। ওই বয়সে তাঁর ইচ্ছাশক্তির জন্য নজির গড়েছিলেন তিনি।
এক বছর পরেও আবারও সেই ছবি নেট দুনিয়ায় ফিরে আসতেই আবেগে ভেসেছেন সকলে। অবনীশ শরণের টুইট ভাইরাল হয়েছে। পোস্টে প্রায় ১৮ হাজার লাইক এবং ১ হাজারেরও বেশি রিটুইট করা হয়েছে। সকলেই কুট্টিয়াম্মার ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনেকে আবার লিখেছেন, বাকি রাজ্যেরও উচিত যারা বিভিন্ন কারণে শিক্ষার থেকে দূরে চলে গেছেন তাঁদের এভাবেই শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনা।