নয়াদিল্লি: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ‘প্ররোচনামূলক’ পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লির অধ্যাপক রতন লাল। দিল্লির হিন্দু কলেজের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই বছর পঞ্চাশের ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অফিসাররা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ও ২৯৫এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গের ছবি দেখিয়ে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন অধ্যাপক। তিনি দাবি করেছেন, আদালতের নির্দেশে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার কাজ চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা পড়লেও তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সেই রিপোর্ট মন্দিরের উপস্থিতির উল্লেখ ছিল। অধ্যাপকের এহেন পোস্টের পর দিল্লি পুলিসকে চিঠি লিখে তাঁর নামে অভিযোগ জানান আইনজীবী বিনীত জিন্দল।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই অধ্যাপককে প্রথমে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অধ্যাপক গ্রেফতারের পরপরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন। অধ্যাপক রতন লালের যুক্তি, হিন্দুধর্মে ফুলে, রবিদাস এবং অম্বেদকরের সমালোচনার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। আমি কিন্তু সমালোচনা করিনি, এটি কেবলমাত্র একটি পর্যবেক্ষণ। তার জন্যও আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হল!
I strongly condemn Prof Ratn Lal’s arrest. He has the Constitutional Right of opinion and expression. @INCIndia https://t.co/gupumAwuXr
— digvijaya singh (@digvijaya_28) May 21, 2022
সপ্তাহখানেক আগে বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয় বারাণসীর জেলা আদালত৷ হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেই জমিতে গড়ে উঠেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ৷ সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করে স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন৷
মসজিদে হিন্দুত্বের ছাপ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানানো হয়৷ মুসলিমদের তরফে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি অবশ্য এই দাবির বিরোধিতা করেছে৷ কমিটির তরফে দুই আইনজীবী মিরাজুদ্দিন এবং অভয়নাথ যাদব জানান, ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে৷ মসজিদের অন্দরে শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়া নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে৷