কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ‘জরুরি অবস্থা’ গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ভারতের গণতন্ত্রকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ৪৭ বছর আগে গণতন্ত্রকে হতার চেষ্টা করা হয়। দেশবাসী গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের সমাবেশে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই সময় সাংবিধানিক অধিকার ও নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আজ, রবিবার মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেই প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন নমো।
জরুরি অবস্থার সমালোচনা করে বক্তব্য শুরু করলেও মোদির বক্তৃতার সিংহভাগজুড়েই ছিল দেশের উন্নয়নের কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের ভারত, উন্নয়নের ভারত। আজ ভারতের সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। সড়ক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের সমস্ত গ্রাম। ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে রান্নার গ্যাসের কানেকশন পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: Tripura TMC: চার আসনেই জামানত জব্দ, আশা না হারিয়ে ত্রিপুরায় লড়াইয়ের ডাক তৃণমূলের
করোনাকালে গোটা বিশ্বকে ভারত দিশা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে ভারত। অনেকেই বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয়র ভ্যাকসিনেশন হতে কয়েক বছর লেগে যাবে। কিন্তু মাত্র এক বছরেই ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ভ্যাকসিন পেয়েছেন। শিশুদের ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।