নয়াদিল্লি: পূর্ব ঘোষণা মতো সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে বিধানসভায় আস্থাভোটের ডাক দিয়েছেন। গত সপ্তাহেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিধায়ক কেনার চেষ্টার অভিযোগ এনে আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিন তিনি বিধানসভায় আস্থা ভোট এনে প্রমাণ করতে চান যে, বিজেপি একজন আপ বিধায়ককেও ভাঙাতে পারবেন না।
এর আগে বিজেপিকে সরকার ফেলার সিরিয়াল কিলার বলে কটাক্ষ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, যেভাবে বিজেপি একের পর এক রাজ্যে সরকার ভাঙছে, তাতে তাদের সিরিয়াল কিলার ছাড়া আর কী বলা যায়। আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরই সিবিআই তদন্ত শুরু হয় দিল্লিতে। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই আপের তরফে বিজেপি তাদের বিধায়কদের কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, সিবিআই অনেক চেষ্টা করেও মণীশের বাড়ি থেকে ২৫ পয়সাও উদ্ধার করতে পারেনি। পরের দিন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার টোপ দিয়ে বলা হয়েছিল, দল ভেঙে বিজেপিতে এলে বিধায়কদের ২০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। মণীশ সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। কেজরির দাবি, তাঁর দলের বিধায়করা এক একটি হিরের টুকরো। তাঁদের কেনা যায় না। তাঁর আরও দাবি, দিল্লির সরকার ভাঙার জন্য বিজেপি ৮০০ কোটি টাকা খরচ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। এর আগে বিজেপি একাধিক বিরোধী সরকার ফেলে দিয়েছে। এবার তারা দিল্লির দিকে হাত বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় ৭০ সদস্যের মধ্যে আপের কাছে ৬২ জন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির কাছে রয়েছে মাত্র ৮ জন বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তাদের কমপক্ষে আরও ২৮ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। এদিন এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা কে প্রমাণ করে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।