দেশে এই প্রথম কোনও ভাষাভিত্তিক সম্প্রদায় সংরক্ষণের সুযোগ পেতে চলেছে। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে একটি সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সে রাজ্যের পাহাড়ি গোষ্ঠী ছাড়াও গুজ্জর আর বাকারওয়ালরা তফসিলি উপজাতি হিসাবে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন। অমিত শাহের ঘোষণা অনুযায়ী, পাহাড়িদের মত কোনও ভাষাভিত্তিক সম্প্রদায় সংরক্ষণের সুযোগ পেলে দেশের সংরক্ষণ আইনকে সংসদে সংশোধন করতে হবে।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কারা বিভাগের ডিজিপিক খুনের পর জম্মু এবং লাগোয়া রাজৌরি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় নিরাপত্তাজনিত সতর্কতার কারণে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট।
মঙ্গলবার ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর এই বিষয়ে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। সেই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে তফসিলি উপজাতি হিসাবে সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন পাহাড়ি, গুজ্জর আর বাকারওয়ালরা। অমিত শাহের দাবি, ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলেই এই সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাকি চালু করা সম্ভব হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল অবশ্য এই পদক্ষেপে অন্য ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছে। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। সেই জম্মু-কাশ্মীরে আগামী বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাঁর আগে কেন্দ্রের শাসক বিজেপি-র এই কৌশলী পদক্ষেপে ছাপ পড়তে পারে ভূস্বর্গের সম্প্রদায়গত রাজনৈতিক সমীকরণে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ নির্বাচিত সরকার ছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। আর রাজ্যের সেই পিডিপি সরকারে বিজেপি ছিল ছোট শরিক। মঙ্গলবার তাঁর সভায় অমিত শাহের দাবি, আগে রাজ্যের যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল কয়েকটি পরিবারের হাতে। আর এখন জম্মু-কাশ্মীরের তিরিশ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ চলছে অনেক বেশি সাবলীল গতিতে।