জম্মু: বিজেপি (BJP) সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) প্রায় শেষের দিকে। বিজেপি ও তার নেতৃত্বে কাঁপুনি ধরানো এই পদযাত্রায় বেশ কয়েকবার মোদি-শাহের যুগলবন্দি সরকারকে তুলোধনা করতেও ছাড়েননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। কিন্তু, সার্জিকাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) নিয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ দলীয় নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের (Digvijaya Singh) বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী। এমনিতেই দিগ্বিজয়ের ওই বক্তব্য থেকে কংগ্রেস আগেই হাত গুটিয়ে নিয়েছিল। মঙ্গলবার জম্মুতে (Jammu) রাহুলের মন্তব্যে দিগ্বিজয় সার্জিকাল স্ট্রাইক ইস্যুতে প্রায় একঘরে গেলেন দলের ভিতরেই।
জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে পাক বাহিনী ও জঙ্গিদের হাতে দেশের ১৮ জন সেনার মৃত্যু হয়। তার কয়েকদিনের মধ্যে ভারত তার প্রতিশোধ নেয়। পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি নষ্ট করে দেয় ভারতীয় বাহিনী। যাকে ভারতের সর্বকালের সেরা সার্জিকাল স্ট্রাইক বলা হয়ে থাকে। বাহিনীর অসীম সাহস ও বীরত্বের সেই ঘটনাকে দিগ্বিজয় সিং সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, সার্জিকাল স্ট্রাইক যে হয়েছে, তার প্রমাণ কী? ভারতীয় সেনার কাছে এর কোনও প্রমাণ আছে কী?
আরও পড়ুন: Reliance Jio: পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ৫০টি রাজ্যে জিও ট্রু ৫জি সার্ভিসের সূচনা
এদিন তা নিয়েই রাহুল বলেন, দিগ্বিজয় সিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাঁরা একমত নন। তাঁর মতের অন্য মত পোষণ করে কংগ্রেস (Congress)। দলের দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনার মাধ্যমে স্থির হয়। তাঁর মত তাঁর নিজের। এর সঙ্গে দলের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। আমাদের মত জলের মতো পরিষ্কার, দেশের সেনাবাহিনী যা করেছে তার কোনও তুলনা নেই। সেই কাজ দেখানোর কোনও প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না।
দিগ্বিজয়ের ওই মন্তব্যের পরেই বিজেপি শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনকী কংগ্রেসের বকলমা নেতা রাহুল গান্ধীর ক্ষমাও দাবি করা হয়। কেননা দিগ্বিজয়ের মনোভাব দেশবিরোধী এবং সেনার নিষ্ঠার প্রতি সন্দেহ পোষণ করা বলে তেড়েফুঁড়ে ওঠেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছিলেন, কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীর নির্দেশে ভারত তোড়োয় মেতেছেন। দিগ্বিজয়ের মন্তব্য বিষ ছড়াচ্ছে। এর মানে হচ্ছে, আপনারা সেনাবাহিনীর কথাকে বিশ্বাস করেন না।