আগরতলা: বাম-কংগ্রেস (Left Congress) সমঝোতা কি এবার ত্রিপুরায় (Tripura) গেরুয়া শাসনের পতন ঘটাতে পারবে? ত্রিপুরার আনাচে কানাচে এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) বিজেপির (BJP) একটিও বিধায়ক (MLA) ছিল না। সেখান থেকে ২০১৮ সালে ৪৩.৫৯ শতাংশের ভোট নিয়ে ৩৬টি আসন পায় বিজেপি। সরকার গড়ে তারা। সেখানে ৪৪.৩৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল বামেরা। সিপিএম ৪২.২২ শতাংশ ভোট। কিন্তু তাদের আসন সংখ্যা কমে ১৬ তে নেমে এসেছিল। ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা ৭.৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস (Congress) পেয়েছিল ১.৭৯ শতাংশ ভোট। তারা একটিও আসনে জয়ী হতে পারেনি। অথচ ২০১৩ সালে তারা ৩৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। বাম-কংগ্রেসের সম্মিলিত ভোট অবশ্য বিজেপির চেয়ে বেশি। এই পরিসংখ্যান (Statistics) মাথায় রেখে এবার ক্ষমতা (Power) দখলের আশায় বুক বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস। তারা আসন সমঝোতা করেছে।
একটি আসন নির্দলকে ছেড়ে বাকি ৪৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। সেখানে ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এখন দেখার, অতীতে যুযুধান দুই শিবিরের সমর্থকরা পরস্পরকে ভোট দেয় কি না। যদিও দুই দলেরই দাবি, সমঝোতা হয়েছে বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। এ ব্যাপারে নীচুতলার কর্মী এবং ভোটারদের মনে কোনও সংশয় নেই।
আরও পড়ুন: Tripura Assembly Elaction 2023: ত্রিপুরা ভোটে এবারেও ব্রু উদ্বাস্তু সমস্যা তেতে উঠতে চলেছে
তবে এবার রাজ পরিবারের প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মার তিপ্রা মথা পার্টি (Tipra Motha Party) একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের অন্তত ২০টি আসন এমন আছে, যেখানে উপজাতি ভোট ফ্যাক্টর। যেখানে ভালো প্রভাব আছে তিপ্রা মথার। ফলে তারা বিজেপির ভোট কাটবে না কি বিরোধীদের (Opposition) সুবিধা হবে সময় অবশ্য তার উত্তর দেবে।
বিজেপির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত মে মাসে বিপ্লব দেবকে (Biplab Deb) সরিয়ে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী করা হয় মানিক সাহাকে (Manik Saha)। এবার বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হয়নি বিপ্লব দেবকে। তিনি এখন রাজ্যসভার সাংসদ। প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে (Pratima Bhowmik)।
গতবার তৃণমূল কংগ্রেস ০.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার তৃণমূলও দাবি করছে তারা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে এই ভোটে।