নয়াদিল্লি: ‘মোদানি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’
হিন্দুত্বের ঠেকা নেওয়া বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বখ্যাত তিরুপতি মন্দির কমিটিকে (TTD) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করল। একটি সংবাদপত্রের খবরকে উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) শ্লেষ হেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে এক টুইট (Tweet) বার্তায় তিনি লিখেছেন, অতি পবিত্র তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD)। যেখানে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। সেই মন্দিরকেই নোটিস পাঠিয়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে মোদি সরকার। অথচ আদানি (Gautam Adani) করমুক্ত সুবিধা ভোগ করে চলেছে। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘মোদানি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’
আরও পড়ুন: President Droupadi Murmu | রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ শহরে, সকাল থেকে নিরাপত্তা আঁটসাঁট
তিরুপতি মন্দিরে শুধু দেশের নয়, প্রতিদিন প্রচুর বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীরও সমাগম হয়। তাঁরা দর্শনী হিসেবে অথবা পুজোর দেওয়ার উদ্দেশে নগদ অর্থ ‘হুন্ডি’তে জমা করেন। এই অর্থ প্রদানকারী ব্যক্তির কোনও নামধাম, পরিচয় থাকে না। এই অর্থকে স্থানীয়ভাবে হুন্ডি বা চাঁদার অর্থ বলা যায়। তিরুপতি মন্দিরের ক্ষেত্রে যা পাহাড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় তারা অর্থ জমা করতে গেলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দেয়। কেননা, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মন্দির কমিটির কাছে এই অর্থের উৎস জানাতে বলে। যা কমিটির কাছে নেই। এর পরেই সরকারে তরফে তাদের ৩ কোটির জরিমানা করা হয়।
গত ৩ বছর ধরে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টের নাম নথিভুক্তিকরণ আটকে রয়েছে। এবার অজ্ঞাতপরিচয় বিদেশি ব্যক্তিদের দান করা বিদেশি মুদ্রা নিয়ে মহা সঙ্কটে পড়েছে তারা। যার পরিমাণ ২৬ কোটি টাকা। মন্দির কমিটি বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সংখ্যা ও পরিমাণও জানিয়েছে। যেমন, মার্কিন ডলারে তাদের কাছে রয়েছে এক লক্ষ ১২ হাজার ৫০০টি নোট। যার পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এভাবে মালয়েশিয়া, আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন, ইউরো, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং অন্যান্য দেশের নোটের পাহাড় জমেছে তিরুপতির ঘরে।
এই টাকা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখতে গিয়ে উল্টে ট্রাস্টকে জরিমানা করে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতবছর তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট হুন্ডিতে মোট রোজগার করেছিল ১৪৫০ কোটি টাকা। টুইটের সঙ্গে সংবাদপত্রের খবরটি জুড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। যাতে বলা হয়েছে, গত ৫ মার্চ মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রক আইন বিভাগের কাছে দরবার করেছিল। তখনই তাদের ঘাড়ের উপর জরিমানার বোঝা দেওয়া হয়।