কলকাতা: কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishik Banerjee) সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court )। শুধুমাত্র ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অভিষেকের অস্বস্তি বহালই থাকল। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে কোনও রক্ষাকবচই পেলেন না তৃণমূল নেতা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই।
কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, শুনানি হবে শুক্রবার। এদিন এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া হল না কোনও রক্ষাকবচ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেক এবং কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা করে যে অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নোটিস জারি করে সব পক্ষের জবাব তলব করা হয়েছে।
গত শনিবার এই মামলায় অভিষেককে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেলা ১১টা থেকে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অভিষেককে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh | এরকম নেতা বাড়ির ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়, অভিষেককে তোপ দিলীপের
শহীদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা কাণ্ডে হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে দিয়ে তাঁর নাম বলানোর চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরের দিন থেকেই একাধিকবার আদালতে যাতায়াতের পথে কুন্তল অভিযোগ করেন, ইডি সিবিআই তাঁকে দিয়েও জোর করে অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা করে। ওকই অভিযোগ জডানিয়ে জেলবন্দি কুন্ত চিঠি দেন হেস্টিংস থানা আলিপুরের নিম্ন আদালতের বিচারককে। এরপর এই নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের লিখিত পর্যবেক্ষণ ছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থা চাইলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে আসে। বিচারপতি সিনহাও বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন।