ইম্ফল: রবিবার মণিপুরে (Manipur) নতুন করে হিংসা (Violence) ছড়িয়েছে। ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এন বীরেন সিং (N Biren Singh) জানিয়েছেন, ৪০ জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে। সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এই সময় মণিপুরে রয়েছেন। সোমবার সেখানে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহের (Amit Shah)। এদিন সকালে মণিপুরের সুঙ্গুতে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়িংয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর খবর মিলেছে বিভিন্ন জায়গায়। নিরাপত্তাকর্মীদের (Security Forces) সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইও চলেছে বিভিন্ন জায়গায়। আহতদের চূড়াচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এম ১৬ ও একে ৪৭-এর মতো অত্যাধুনিক রাইফেল ব্যবহার করেছে। এমনকী স্নাইপার গানও ব্যবহার করেছে তারা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। তারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছি। এজন্য সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।যা তথ্য পেয়েছি তাতে ৪০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে। এদেরকে কুকি জঙ্গি বলা উচিত। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর এরা গুলি চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather | কিছুক্ষণই মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি পূর্বাভাস কলকাতাসহ একাধিক জেলায়, বইবে ঝোড়ো হাওয়া
শনিবার সেনা প্রধান সেই রাজ্যে এসেছেন। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন। তিনি রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার পরিস্থিতি জানবেন। মণিপুরে প্রথম হিংসা ছড়িয়েছিল ৩ মে। তার এক মাস পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই রাজ্যে আসার কথা। তিনি তিন দিনের সফরে আসছেন। এদিকে শনিবার মণিপুর পুলিশ তিন জন রাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইম্ফল পূর্ব জেলায় একটি মাংসের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩৪ হাজার ট্রুপ এই মুহূর্তে মণিপুরে রয়েছে। যা শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তবুও বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর আসছে। এখনও পর্যন্ত হিংসায় ৭০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। ২০০ জন আহত হয়েছেন। ৪০ হাজার মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় মিলিটারি ও প্যারামিলিটারি ফোর্স রাখা হয়েছে।মেইতেই কমিউনিটি তফশিলি উপজাতির দাবি জানানো থেকে এই হিংসার ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। মণিপুরের পাহাড়ি উপজাতিরা মনে করছে মেইতেই জাতিকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া ঠিক হবে না। যাতে তাদের চাকরি ও শিক্ষার অধিকারে কোপ পড়বে।