মণিপুর: ৩ দিনের সফরে সোমবার থেকে মণিপুরে (Manipur) রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই হিংসা দীর্ণ উত্তর-পূর্বের রাজ্যে সফরে শাহ। সোমবার গভীর রাতে মণিপুরের মুখ্য়মন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্মকর্তারা জানান, গুজব ছড়ানোর বিষয়টি দূর করতে বিশেষ টেলিফোন লাইন স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ মে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে এই সংঘর্ষ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম মণিপুর সফরে গিয়েছেন শাহ। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার তাঁর একাধিক বৈঠক করার কথা। বুধবার তিনি এ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর। শাহের এই সফরের পর মণিপুরে অশান্তির আঁচ কতটা কমে, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাহের সফরের আগেই রবিবার নতুন করে ফের হিংসা ছড়ায় মণিপুরের সেরাও ও সুগুনু এলাকায়। হিংসার জেরে এক পুলিসকর্মী সহ প্রাণ হারান ৫ জন। আহত হন কমপক্ষে ১২ জন।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলসের প্রায় ১৪০ কলাম সেনা অর্থাত্ ১০ হাজারেরও বেশি জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। গত মাস থেকেই উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বে রাজ্যটি। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তাদেরকে তফশিলি উপজাতি ভুক্ত করার দাবি জানালে, তার প্রতিবাদ করে কুকি উপজাতির মানুষরা।
এদিকে মণিপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশই মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন। আর জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ আদিবাসী নাগা এবং কুকিরা। তারা মূলত পার্বত্য জেলাগুলিতে বাস করেন।