কলকাতা: পরপর দুই কার্যকালে কেন্দ্রের সরকারে ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। বিল পাশ, আইন প্রণয়ন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে এনডিএ-র জোটসঙ্গীদের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়নি। কিন্তু সময় এখন অন্যরকম। জোটসঙ্গীদের হাত ধরেই তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার ফল ধীরে ধীরে টের পাচ্ছে বিজেপি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গত আড়াই-তিন মাসে ল্যাটারাল এনট্রি, ওয়াকফ বিল, ব্রডকাস্ট বিল, সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে জোটসঙ্গীদের। জোটের রাজনীতির অভ্যাস গেরুয়া শিবিরের সেরকম নেই, ফলে তারা এখন চাপে। সহযোগীদের চাপে প্রধানমন্ত্রীর সমস্যা বেড়েই চলেছে। এমনকী এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই নাকি মেনে নিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনাক্রম এই ধারণা তৈরি করেছে যে সরকার কমজোরি।
আরও পড়ুন: দূষণহীন শিল্প চিহ্নিতকরণ করতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
যেমন ওয়াকফ বিল সংশোধনে আলোচনার দাবি করেছিল তেলুগু দেশম পার্টি, চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। পরে নীতীশ কুমারের জেডিইউ একই পথে হাঁটে। তাছাড়া সম্প্রতি চিরাগ পাসোয়ান জাতিগত জনগণনার দাবি করেছিলেন, যে দাবি বহুদিন ধরে করেছেন রাহুল গান্ধী। ইউপিএসসিতে ল্যাটেরাল এনট্রি নিয়েও বিরোধিতা করেন রামবিলাস-পুত্র।
এদিকে এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক টিডিপি রাজ্যের আর্থিক অবস্থা শোধরানো এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর কর্মযজ্ঞে ফোকাস করেছে। এ নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তবে জোটের এক নেতার দাবি, আরও আলোচনা হওয়া উচিত। তিনি এও বলেন, বিজেপির উচিত সমস্ত সিদ্ধান্তে আমাদের শামিল করা কারণ এখন সমস্ত ছোট পদক্ষেপের রাজনৈতিক পরিণাম থাকে। ছোট ছোট দলগুলির নিজের রাজনৈতিক জমি বাঁচাতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: