নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ আটকে দিচ্ছে ওমিক্রনকে। শুধু ওমিক্রনই না, রুখে দিচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধ্বংসাত্মক ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টাকেও। ভারত বায়োটেক সংস্থার পক্ষে এই দাবি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ। বহু মানুষকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। দিনের পর দিন অক্সিজেন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়েছে। আশার কথা, ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভরতির হার তুলনায় অনেকটাই কম। সংক্রমণ বৃদ্ধির গতিবেগে ওমিক্রন প্রায় সুনামির মত এসেছে। তখনই বুস্টার ডোজের কথা বলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বুস্টার নিতে পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এ রকম পরিস্থিতিতে বাড়তি অক্সিজেন এনে দিল ভারত বায়োটেক। সংস্থার তৈরি বুস্টার ডোজ কোভ্যাকসিন ওমিক্রন এবং ডেল্টা দুই কোভিড-দানবকেই রুখে দিতে পারছে বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার বক্তব্য, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে কোভ্যাকসিন বুস্টার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে একশ ভাগ রুখে দিতে সম্ভব। আর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কোভ্যাকসিন বুস্টার ৯০ শতাংশ কার্যকর।
COVAXIN® (BBV152) Booster Shown to Neutralize Both Omicron and Delta Variants of SARS-CoV-2#bbv152 #COVAXIN #BharatBiotech #COVID19Vaccine #omicron #deltavariant #SARS_CoV_2 #covaxinapproval #boosterdose #pandemic pic.twitter.com/0IgFmm13rS
— Bharat Biotech (@BharatBiotech) January 12, 2022
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি। চরিত্র বদলে ফেলেছে কোভিড। শুধু একটুই বলতে পারছেন বিশেষজ্ঞেরা। ওমিক্রন নিয়ে আরও অনেক বেশি গবেষণার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে এটা নিশ্চিত করে বলছেন প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে প্রাণের ঝুঁকি অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন: Covid vaccine: কোভিডের হাত থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিনই ভরসা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রামিতদের হাসপাতালে ভরতির হার অত্যন্ত কম। হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে এমন রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ৯০ শতাংশ মানুষই ভ্যাকসিন নেননি। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করে বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ৭৮ শতাংশ মানুষ সংক্রমণ এড়াতে পারবেন। আর টিকা নেওয়ার পরও যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশকে হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সংক্রামিত মানুষকে হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন হবে না।