Thursday, August 28, 2025
HomeScroll১৬৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম চা উৎপাদন এবছর দার্জিলিংয়ে!

১৬৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম চা উৎপাদন এবছর দার্জিলিংয়ে!

দার্জিলিং: চা উৎপাদনে এবার রেকর্ড গড়ল দার্জিলিং। তবে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয়, বরং ঘাটতিতে। শুনতে অবাক লাগছে তো! কিন্তু এটাই যে সত্যি।

টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিংলিংয়ের ১৬৯ বছরের সময়কালীন সবচেয়ে কম চা উৎপাদন হয়েছে। ২০২৪ সালের যেই রিপোর্ট সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলার শৈল শহরে চা উৎপাদন হয়েছে ৫.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ লাখ ৬০ হাজার কেজি। যা গত ১৬৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

তবে কেন এমন ঘটল? এই বিষয়ে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরে চলছিল প্রতবাদ। তাই চা বাগান খোলা থাকলেও হয়নি কাজ। কারণ অনেকেই নিয়মিত আসেননি চা বাগানে। যার জেরে চা উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি, চা গাছ পরিচর্যার আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। আর সেই খরচের বাহার বাড়ায় সম্ভব হয়নি নতুন চারা রোপন করা। অন্যদিকে আবার রনো গাছ পুনস্থাপনের খরচও মাত্রা ছাড়া। তাই এবার অনেকটাই কম চা উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘আর্থ আওয়ার’-এ অংশ নিন, আর্জি রাজ্যপালের

কিন্তু পুরনো পরিসংখ্যান যদি দেখা হয় জানা যাবে বিগত কিছু বছরগুলিতেও কিন্তু খুব বেশি কিছু চা উৎপাদন হয়েছে তা কিন্তু নয়। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদন হয়েছিল ৬০ লক্ষ। চা মালিকদের সংগঠনের দাবি, বছরের পর বছর চায়ের উৎপাদন কমছে। এর পিছনে কী কারণ? তাতে বলা হচ্ছে, এখন চা সংগঠনগুলির যেই অস্থায়ী মালিকেরা আছে তারা চা বাগানের উন্নতির জন্য পর্যাপ্ত খরচ করছেনা। যার জেরে বছরের পর বছর ধরে চা উৎপাদনে দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে গত শতকে দার্জিলিংয়েই তৈরি হত এক কোটি চার লাখ কেজি চা। যা এখন অনেকটাই কম। পাশাপাশি, জানা যাচ্ছে দার্জিলিংয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ ১২টি চা বাগান। যার জেরে সেখানে কাজ করতে পারেন না চা শ্রমীকরা। আর সেটিও একটি প্রধান কারণ চা উৎপাদন হ্রাসে।

দেখুন অন্য খবর

Read More

Latest News