নয়াদিল্লি: আজ, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র (Maharashtra) এবং ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections) সূচি ঘোষণা করবে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুপুর ৩.৩০টেয় সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে তারা, তখনই বিস্তারিত জানা যাবে। একই সঙ্গে এদিন উত্তরপ্রদেশের ১০টি এবং গুজরাটের ২টি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের সূচি জানানোর কথা নির্বাচন কমিশনের।
২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভার কার্যকাল শেষ হতে চলেছে নভেম্বর মাসে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের ৮১ সদস্যের বিধানসভার মেয়াদ আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন মহাযুক্তি সরকার। তাঁর দুই সহযোগী দল বিজেপি এবং এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী)। এদিকে কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি মিলে তৈরি মহাবিকাশ আগাড়ি জোট ক্ষমতায় ফিরতে আশাবাদী। কারণ এ বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের জোটকে ধরাশায়ী করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি
ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই বিজেপির। ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়ে দিয়েছেন, জেএমএমের নেতৃত্বাধীন জোট ৮১টি আসনেই লড়াই করতে চলেছে। দলের প্রস্তুত নিয়ে সন্তুষ্ট সোরেন ক্ষমতায় ফিরতে আশাবাদী।
এদিন উত্তরপ্রদেশের ১০টি এবং গুজরাটের ২টি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ জানা যাবে। উত্তরপ্রদেশের ১০টির মধ্যে ৯টি আসন ফাঁকা হয়ে যায় সেখানকার বিধায়করা লোকসভা নির্বাচন জিতে সাংসদ হয়ে যাওয়ায়। একটি সমাজবাদী পার্টির ইরফান সোলাঙ্কি অপরাধমূলক কাজে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বিধায়ক পদ হারান। গুজরাতের এক আসনে বিধায়ক হওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেন আম আদমি পার্টির ভূপেন্দ্র ভয়ানি। অন্য আসনে কংগ্রেস বিধায়ক লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হন। সেই কারণেই বিধায়ক পদগুলি খালি পড়ে রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: