নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ইব্রাহিম লোদি আমলের সৌধ জবরদখলকারী সংস্থাকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তীব্র সমালোচনার মুখে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াও (ASI)। দিল্লির ডিফেন্স কলোনি এলাকায় শেখ আলি গুমটি জবরদখলে অভিযুক্ত ডিফেন্স কলোনি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। প্রায় ৬০ বছর ধরে দখলদারি চললেও পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ দফতরের নির্লিপ্ত ভূমিকা সমালোচিত।
বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই তার রিপোর্ট পেশ করেছে।
জবরদখল নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালতের প্রশ্ন, কোন অধিকারে তোমরা ওখানে ঢুকেছ? অ্যাসোসিয়েশনের জবাব, দশকের পর দশক আমরা সেখানেই আছি। তাতে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, এ কেমন ধরনের জবাব? এসব চলতে পারে না। তোমাদের উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবগারি মামলায় ইডিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে কেজরিওয়াল
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পাল্টা সওয়াল করে বলা হয়, আমরা না থাকলে ওখানে অসামাজিক লোকজনের আস্তানা হবে। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলে, এ তো ঔপনিবেশিক শাসকের মতো কথা। যারা বলত, আমরা ভারতে না আসলে এদেশের কী যে হত!
সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় আরও বলে, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে বলে একটা সংস্থা তার সদ্ব্যবহার করবে? পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ দফতর কী করে তা মেনে নিল? যারা এর জন্য দায়ী, তাদের ছাড়া হবে না। সেখানে ফলস সিলিং লাগানো হয়েছে, পাখা টাঙানো হয়েছে। এসব কোনওটাই চলতে পারে না। জঘন্য ব্যাপার স্যাপার। স্থানীয় প্রশাসন কি এভাবেই চলে? কী করে এমন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হচ্ছে? ওই দফতর নিজেরই তৈরি করা নিয়মনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ৭০০ বছরের পুরনো একটি সৌধে কী করে বহিরাগতকে ঠাঁই দেওয়া হল?
এই ঘটনার ফলে ওই সৌধের কতটা ক্ষতি হয়েছে এবং কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, তা যাচাই করার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছে আদালত। ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ২১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: