কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির যুব মোর্চার নেতার খুনের ঘটনায় উত্তাল কর্নাটক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে প্রবীণ নেত্তারু নামে ওই নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবীণের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। সেই ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির যুবকর্মীরা। দলের অন্দরেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই শোকপ্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিলেও রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
দলের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমেছেন বিজেপির যুবকর্মীরা। গণইস্তফাও দিয়েছেন অনেকে। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস লাঠিচার্জও করেছে একাধিক জায়গায়। বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার মতো দক্ষিণপন্থী দলগুলিকে এই খুনের জন্য দায়ী করেছে তারা। পরিস্থিতি পুত্তুর, সুল্লিয়া এবং কাদাবা তালুকে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। বিজেপির যুবকর্মীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার হিন্দু কর্মীদের হত্যা বন্ধ করতে পারছে না।
বিজেপির যুব মোর্চার নেতার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিস ৫টি বিশেষ দল গঠন করেছে। তাদের মধ্যে তিনটি দলকে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে। ম্যাঙ্গালোরের পুলিস সুপারিন্টেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের বাইকে কেরলের নম্বর ছিল। এখনও আমরা জোরালো কোনও প্রমাণ পাইনি। রাজ্যের সীমানাগুলিতে কড়া নজরদারি চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।