কলকাতা: বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাকেই সমর্থন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুধর্মালম্বী সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের (Chinmoy Krishnadas) গ্রেফতারি নিয়ে সরব বাংলাদেশের হিন্দুরা। হিংসার ঘটনার তিব্র নিন্দা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বলেন, ধর্মে ধর্মে বিভেদ কাম্য নয়। নাম না করে বিজেপিকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশ অন্য একটা দেশ। অন্য কোনও দেশের সম্পর্কে কিছু করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারই করবে। আমরা দুঃখিত, মর্মাহত। আগেও অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন, এখনও অত্যাচারিত হয়ে চলেছেন। আন্দোলনের সময়ও অনেক ছাত্রছাত্রী মারা গিয়েছেন। আজও তার রেশ চলছে।’
বিধানসভা থেকেও একই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও দেশে যে কোনও ধর্মের মানুষজনের উপর হামলা হলে আমরা তার নিন্দা করি। বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘটনাও সমর্থনযোগ্য নয়।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমরা মন্তব্য করব না।’ ইতিমধ্যেই ইসকনের প্রধানের সঙ্গে দু’বার ফোনে বার্তালাপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বুধবার সংসদের বাইরের সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দেশের স্বার্থে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে দলগতভাবে তা সমর্থন করবে তৃণমূল। যে ঘটনা ঘটেছে,তা সমর্থনযোগ্য নয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়।’
আরও পড়ুন: দেশের হাল বেহাল! এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর নাচ দেখে মাথায় হাত দেশবাসীর
এবার সেই পথেই হাটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের অগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, ‘এই নিয়ে যা বলার কেন্দ্র বলবে, রাজ্য তা করবে।’ অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনেই নিজের মতামত ব্যক্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দেশের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও জাতীয় স্বার্থে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।
দেখুন আরও খবর: