হিমাচল প্রদেশ: এবার হিমাচল প্রদেশে আইনতভাবে (legally) গাঁজার চাষ শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu) শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন। এদিন তিনি বিষয়টির আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যের পরিষদীয় কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। শাসকদল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-সহ সব দলের বিধায়কদের ওই কমিটিতে উপস্তিত থাকার কথা বলেছন। চিকিৎসার কাজে লাগানোর পাশাপাশি কিভাবে গাঁজা থেকে আরও বেশি কর আদায় করার বিষয়েও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে এই কমিটি।
গত ৬০ বছর ধরে গাঁজা (Marijuana) রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিপজ্জনক মাদক তালিকায় রয়েছে। একমাত্র ওষুধ তৈরি ছাড়া গাঁজার ব্যবহার, বিক্রি নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আশা, গাঁজা আইনিভাবে স্বীকৃতি পেলে চিকিত্সাক (Treatment) ক্ষেত্রে অনেক কাজে দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজস্থান (Rajsthan), মধ্যপ্রদেশ (Madhaya Pradesh) এবং উত্তর প্রদেশের কিছু জেলায় গাঁজা চাষকে আইনি মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়াও শিল্প ব্যবহারের জন্য উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষও হচ্ছে।
কয়েকবছর আগে হিমাচলের বিভিন্ন সংগঠনগুলি গাঁজা চাষের আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে যাচ্ছিল। রাজনৈতিক দলগুলিও গাঁজা চাষের বৈধতা দেওয়ায়র সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছিল। ২০১৮ সালে কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে চিঠি দিয়েছিলেন। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন বিধানসভায়।
২০১৫ সালের নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষে শর্তসাপেক্ষ সম্মতি দিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। এলাকার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই এই আইন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষের বৈধতা রয়েছে। হিমাচলের মালানা এলাকার গাঁজা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। এখানে এটি বৈধতা পেলে পিছিয়ে পড়া এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি।