উত্তরকাশী: ড্রিলিং মেশিন যদি ঠিক থাকে কাজ করে তাহলে আর দুই থেকে আড়াই দিনের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে। রবিবার দুপুরে উত্তরকাশীর ধ্বসে আটকে যাওয়া সুড়ঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গাদকরি। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিকে নিয়ে আজ সুড়ঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচানো আমাদের লক্ষ্য। জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে।
‘তোমরা কাজ করছ, নাকি গোড়া থেকেই মিথ্যা বলে চলেছো? ওয়াকিটকিতে এই প্রশ্ন এক শ্রমিকের। আটদিন কাটতে চলেছে, পদে পদে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ায় মনের জোর ভেঙে পড়েছে সুড়ঙ্গে আটক (Uttarkashi Tunnel Collapse) ৪১ কর্মীর। যে অত্যাধুনিক ড্রিলিং মেশিন এনে কাজ চলছিল, খননের ফলে আরও পাথরের টুকরো খসে পড়ছে সুড়ঙ্গে। সে কারণে শনিবারই বন্ধ রাখা হয় ড্রিলিংয়ের কাজ।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিতে ধাক্কা পুলিশের গাড়ির, মৃত ৫
আটদিনের মাথায় আজ, রবিবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (CM Pushkar Singh Dhami) গিয়েছিলেন সিলকিয়ারা গ্রামে। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকরি (Nitin Gadkari)।
প্রায় ৬টি টিম যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালালেও এখনও সুড়ঙ্গপথের আলো দেখা যায়নি। তাই অবশেষে সেনাবাহিনীকে (Indian Army) তলব করা হয়েছে। তারা সুড়ঙ্গের মাথার দিক থেকে গর্ত করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করবে। সব থেকে বড় সমস্যা শ্রমিকদের কাছে খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও যেখানে তাঁরা আটকে রয়েছেন, সেখানে পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা না থাকায় জায়গাটি দূষিত হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই।
ড্রিলিংয়ের সময় পাথরের চাঁই খসে পড়তে থাকায় এখন উপর এবং পাশের দিক থেকে খননকাজের বিকল্প পথ ভাবা হচ্ছে। উপর থেকে প্রায় ১৭৭ মিটার এবং পাশের দিক থেকে প্রায় ১০৩ মিটার খনন করা হবে। ফলে নতুন করে বিপত্তি না ঘটলে আরও ৪-৫ দিন সুড়ঙ্গেই আটকে পড়ে থাকতে হবে কর্মীদের।
দেখুন আরও খবর: