কলকাতা: বদলাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। মহাযুক্তি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিরোধীদের দাবি, অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে মেরে ফেলা হয়েছে প্রমাণ লোপাট করতে। কারণ যে স্কুলে দুই শিশুকন্যার ধর্ষণ করা হয়েছিল তার মালিক এক বিজেপি নেতা।
সোমবার বিকেল ৫.৩০ নাগাদ তালোজা জেল থেকে তদন্তের জন্য বদলাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অক্ষয়কে। আচমকাই ইনস্পেক্টর নীলেশ মোরের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে সে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশক। অক্ষয় গুরুতর আহত হয় এবং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে দুই পুলিশ আধিকারিকও গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, হাতকড়া পরে থাকা বন্দি গুলি চালাল কী করে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার, জমি দুর্নীতিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বৈধ
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh) বলেছেন, হাতকড়া পরা কোনও ব্যক্তির পক্ষে গুলি চালানো সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “যদি সঞ্জয় শিন্ডের দুই হাত বাঁধা থাকে তাহলে সে গুলি চালাল কী করে? যে স্কুল নিয়ে প্রশ্ন তার মালিক এক বিজেপি নেতা। প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল, এবার এনকাউন্টার করে ধামাচাপা দেওয়া হল।”
এদিকে এনসিপির (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে (Supriya Sule) এই ঘটনাকে আইন-শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থার চরম দুর্দশা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চভন (Prthiviraj Chavan) বলেছেন, মহারাষ্ট্র পুলিশের এটি কালো দিন। তাঁর কথায়, সঞ্জয়কে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। এনকাউন্টারের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছি। মহারাষ্ট্র পুলিশ এখন ন্যায়বিচার করতে পারবেন না, আসল দোষীদের খুঁজেই পাওয়া যাবে না।
দেখুন অন্য খবর: