কলকাতা: মহারাষ্ট্রের মানুষের আত্মা, সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আছেন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ। তাঁর নাম মাহাত্ম্যে ওই রাজ্যে সরকার গড়েছে, ভেঙেছে। গত ২৬ অগাস্ট সিন্ধুদুর্গের মালভান এলাকায় ভেঙে পড়ল স্বয়ং শিবাজির ৩৫ ফুটের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই মূর্তির উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৯ মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ল তা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে চাপে পড়া এনডিএ আরও বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
এই মূর্তি তৈরির দায়িত্বে ছিল নৌসেনা, যাদের এ ব্যাপারে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। মূর্তির মালমশলার গুণমান নিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতর আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। মহারাষ্ট্রের পূর্ত মন্ত্রী রবীন্দ্র চভন জানান, যে ইস্পাত দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়েছিল তাতে দ্রুত জং ধরতে শুরু করে। নৌসেনাকে এসব জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। চভনের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং ছত্রপতি শিবাজির অসম্মানের অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: যথেষ্ট হয়েছে! আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি
বিশেষভাবে খড়্গহস্ত হয়েছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। আদিত্য ঠাকরের অভিযোগ, নির্বাচনী সুবিধার প্রতি অগ্রাধিকার দিয়ে সাত তাড়াতাড়ি মূর্তি তৈরি হয়েছে, তার গুণমান এবং শিবাজি মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। এই ঘটনাকে ছত্রপতির অপমান বলে আখ্যা দিয়েছেন আদিত্য। এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও বিরোধীদের আক্রমণ থামছে না। বছরের শেষে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই ঘটনার আঁচ পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
দেখুন অন্য খবর: